নিজের জয়ের চেয়েও পুত্র শুভাশিসের জয়কেই বেশি গুরত্ব দিচ্ছেন দুলাল। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই ছেলের বড় জয়। দুলালের কথায়, ‘‘মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়ে ছেলে জিতেছে। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের।’’
রত্না চট্টোপাধ্যায়, দুলাল দাস ও শুভাশিস দাস
দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিই জিতেছে তৃণমূল। দল বলছে, জয়ের কাণ্ডারি এলাকার বিধায়ক তথা পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান দুলাল দাস। যিনি নিজেও ওই পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন। ৬০০-র কিছু বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি। অন্য দিকে, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩,৫০০ ভোটে জিতেছেন তাঁর ছেলে শুভাশিস দাস। পুরসভার একটি মাত্র ওয়ার্ডে জিতেছে কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রণীত ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েই দুলালকে এই পুরভোটে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। অনেকটা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের মতোই। ফলে তিনি আপাতত একইসঙ্গে বিধায়ক এবং কাউন্সিলর। ফিরহাদের মতোই। এখন দেখার, ফিরহাদ যেমন মন্ত্রীর পাশাপাশি মেয়র হয়ছেন, দুলালও তেমনই বিধায়কের পাশাপাশি পুরসভার চেয়ারম্যানও হন কি না।
তবে নিজের জয়ের চেয়েও পুত্র শুভাশিসের জয়কেই বেশি গুরত্ব দিচ্ছেন দুলাল। প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়েই ছেলের বড় জয়। দুলালের কথায়, ‘‘মানুষ আমাদের জিতিয়েছেন। প্রথম বার ভোটে দাঁড়িয়ে ছেলে জিতেছে। এটাই আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের।’’ তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ‘‘এই জয়ে আমাদের উপর আরও দায়িত্ব বাড়ল। আগামী দিনে মহেশতলার বাসিন্দাদের আরও উন্নত পরিষেবা দিতে হবে আমাদের।’’
প্রসঙ্গত, এর আগে মহেশতলা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হতেন দুলাল। কিন্তু এ বার পুরসভার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, তাঁকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিধানসভা ভোটে দুলালের কন্যা রত্না চট্টোপাধ্যায় বেহালা পূর্ব আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হন। তিনিও জিতেছিলেন। রত্নাকে তৃণমূল প্রার্থী করেছিল ওই কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রার্থী তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ছেড়ে-যাওয়া আসনে। বিধানসভা ভোটের পর কন্যা রত্নার সঙ্গে বিধানসভায় গিয়েছিলেন দুলাল। এ বার পুত্রের সঙ্গেই ঢুকবেন পুরসভায়। এই নিয়ে চারবার কাউন্সিলার হলেন দুলাল।