ঘটনাচক্রে, বিজেপি নেতৃত্বের কাছে নিজেই পুরভোটে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ। যা থেকে এটা মনে করা হচ্ছিল যে, জয় নিয়ে তিনি মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর বছর ঘোরার আগেই পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডে হেরে গেলেন তিনি। এই পরাজয় বিজেপি-র রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার কাছেও বড়মাপের ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
রানাঘাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে হারলেন বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
বিধানসভা ভোটে বিজেপি-র ভরাডুবির মধ্যেও বিরাট ব্যবধানে জিতেছিলেন পার্থসারথি(বাবু) চট্টোপাধ্যায়। তা-ও আবার রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রে ডাকসাইটে নেতা শঙ্কর সিংহকে হারিয়ে। কিন্তু পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডেই জিততে পারলেন না তিনি।
ঘটনাচক্রে, বিজেপি নেতৃত্বের কাছে নিজেই পুরভোটে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন পার্থ। যা থেকে এটা মনে করা হচ্ছিল যে, জয় নিয়ে তিনি মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর বছর ঘোরার আগেই পুরভোটে নিজের ওয়ার্ডে হেরে গেলেন তিনি। এই পরাজয় বিজেপি-র রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার কাছেও বড়মাপের ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
রানাঘাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন পার্থসারথি। সেখানেই তৃণমূল প্রার্থী আইদীপ বাগীর কাছে পরাজিত হয়েছেন তিনি। ১৩১ ভোটে হেরেছেন বিজেপি-র বিধায়ক পার্থ। তিনি পেয়েছেন ৫২৯ ভোট। জয়ী তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৭১০টি ভোট।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যে চারজন তৃণমূল নেতাকে বিশেষ বিমানে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাঁদেরই একজন ছিলেন পার্থসারথি। ঘটনাপ্রবাহ বলছে, ওই বিমানে জায়গা-পাওয়া নেতাদের মধ্যে কেবলমাত্র তিনিই বিধানসভা ভোটে জিতেছিলেন। বাকি সকলেই হেরেছেন। তাঁদের মধ্যে রাজীব আবার তৃণমূলে ফিরেও গিয়েছেন। প্রবীর ঘোষালও ফিরব-ফিরব করছেন। বাকিরা এখনও বিজেপি-তে আছেন। যেমন আছেন পার্থসারথিও। কিন্তু পুরভোটে বিধানসভা ভোটের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলেন না তিনি।