—প্রতীকী চিত্র।
দু’টি দলের নীতিগত পার্থক্য অনেক। একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও কেউ কারও থেকে কম যায় না। কিন্তু তবুও পঞ্চায়েত গঠনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বোর্ড গঠন করল তৃণমূল ও আরএসপি।
বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তানিয়া মণ্ডলকে সমর্থন করেছে বামফ্রন্টের শাখা সংগঠন আরএসপি। উপপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন আরএসপির দিলীপ মণ্ডল। নীতি বিসর্জন দিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করেছে বাম-তৃণমূল— দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। বাম-তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরাতে তৃণমূল, বামফ্রন্ট একত্রিত হয়ে ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছে। তা হলে এখানে কেন নয়!
ভোটের ফলাফলে উত্তর মোকামবেড়িয়া কার্যত ত্রিশঙ্কু ছিল। ১৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭, বিজেপি ৬, আরএসপি ৫ ও নির্দল ১টি আসন পেয়েছিল। সূত্রের খবর, বিজেপি বোর্ড গঠন করার জন্য আরএসপিকে প্রধান পদ ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আরএসপি বিজেপির সঙ্গে না গিয়ে তৃণমূলকে সমর্থন জানাল। প্রধান হিসাবে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তানিয়া বলেন, “আগামী দিনে এই পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়নকে প্রাধান্য দেবে। সব মানুষের পাশে থাকব, কথা দিলাম।” বাসন্তীর আরএসপি নেতা জয়দেব মণ্ডল বলেন, “মানুষের কল্যাণের স্বার্থে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই এই জোট।”
কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি। দলের নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, “এই জোট ধান্দাবাজদের জোট। আগামী পাঁচ বছর লুটেপুটে খাওয়ার জোট। নিজেদের নীতি বিসর্জন দিয়ে এই জোট করেছে। যে বামফ্রন্টকে হটিয়ে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে, রাজ্যের বহু জায়গায় বামফ্রন্ট-সহ বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি, ভোট দিতে দেয়নি তৃণমূল, সেই বামফ্রন্টের হাত ধরে পঞ্চায়েত গঠন করছে। এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই।”
বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “বিজেপিকে কেন্দ্র থেকে উৎখাত করতে দিল্লিতে ২৬টি রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়েছে। সেখানে তৃণমূল, বামফ্রন্ট সকলেই রয়েছে। এখানেও তৃণমূল ও বামফ্রন্ট একত্রিত হয়ে বোর্ড গঠন করেছে মানুষের স্বার্থে, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই।”