কুলতলিতে খাঁচাবন্দি বাঘ। নিজস্ব চিত্র।
সারাদিন লোকালয় লাগোয়া বাদাবনে ঘাপটি মেরে থাকার পর অবশেষে খাঁচাবন্দি হল সুন্দবনের বাঘ। বৃহস্পতিবার ভোরে কুলতলি ব্লকের পেটকুলচাঁদ এলাকায় বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগ। বাঘ ধরা পড়ার খবরে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে মিন ধরতে গিতে মাতলা নদীর শাখার পাড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন পেটকুলচাঁদ এলাকার কয়েকজন মহিলা। এরপরই গ্রামে ফিরে তাঁরা বন দফতরে খবর দেন। দ্রুত স্থানীয় চিতুড়ি বিট অফিস থেকে বনকর্মীরা জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরে ফেলেন। শুরু হয় বাঘকে তাড়ানোর চেষ্টা। কিন্তু দিনভর চেষ্টাতেও লোকালয় লাগোয়া জঙ্গল ছেড়ে বাঘটিকে বার করা সম্ভব হয়নি।
এর পর বাঘটিজে খাঁচায় বন্দি করার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। রাতেই মোষের মাংসের টোপ দিয়ে পাতা হয় খাঁচা। খাবারের লোভে খাঁচায় ঢুকে পড়ে বন্দি হয় সে। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে কৈখালির ডোঙ্গাজোড়া, কুলতলির ভুবনেশ্বরী, গোসাবার মথুরাখণ্ড-সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ খাঁচাবন্দি করে জঙ্গলে ফিরিয়েছে বন দফতর।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে এটি ৫-৬ বছর বয়সি বাঘিনী। বৃহস্পতিবার ভোরেই তাকে খাঁচায় বন্দি করা হয়েছে। আপাতত রাখা হয়েছে চিতুড়ি বিট অফিসে। চিকিৎসকেরা এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই জঙ্গলপে ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, আগে জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ খাঁচাবন্দি করতে ছাগলের ‘টোপ’ ব্যবহার করা হত। কিন্তু পশুপ্রেমী সংস্থার দায়ের করা মামলার জেলে এখন কাঁচা মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে।