প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ফাইল চিত্র।
কোনও মহিলা বিকিনি পরবেন না কি মাথায় ঘোমটা দেবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কেবল মাত্র তাঁরই অধিকার বলে মনে করেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। কর্নাটকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরা ঘিরে অশান্তির ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় বুধবার ‘লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ’ হ্যাশট্যাগে তাঁর টুইট, ‘বিকিন হোক বা ঘোমটা, জিনস কিংবা হিজাব, এক জন নারী কী পরবেন, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। সেই অধিকার নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সংবিধান। নারী নিগ্রহ বন্ধ করুন।’
মঙ্গলবার কর্নাটকের মাণ্ড্য প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে তোলা বলে দাবি করা একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হিজাব পরিহিত এক জন পড়ুয়াকে ঘিরে ধরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিচ্ছে একদল যুবক। তাদের প্রত্যেকের গলায় বা কাঁধে গৈরিক উত্তরীয়। ভয় পেয়ে গুটিয়ে না গিয়ে হিজাব পরিহিত পড়ুয়া পাল্টা ‘আল্লা হু আকবর’ স্লোগান দিচ্ছে। মুসকান নামে ওই ছাত্রীর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর বুধবার কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রিয়ঙ্কা।
প্রিয়ঙ্কার ওই টুইটে ‘লাইক’ দিয়ে সমর্থন জানিয়েছেন রাহুল গাঁধীও। সম্প্রতি তিনিও কর্নাটকের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ক্লাস করায় বিধিনিষেধ জারির প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, গত মাসে কর্নাটকের উদুপির একটি কলেজে হিজাব পরিহিত পড়ুয়াদের ক্লাস করতে না দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। জেলা প্রশাসনের ‘বার্তা’ পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষই হিজাব পরে ক্যাম্পাসে না ঢোকার নির্দেশিকা জারি করেছিল বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনার পর কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্যেরা রাজ্য জুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে হিজাব বাতিলের দাবিতে পথে নামে। শুরু হয় অশান্তি পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে তিন দিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে হয় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে। কর্নাটক হাই কোর্টেও হিজাব সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়েছে বুধবার। এরই মধ্যে হিজাব-বিতর্কে অশান্তির আঁচ লেগেছে মধ্যপ্রদেশ এবং পুদুচেরিতে।