প্রতীকী ছবি।
মালগাড়ির ভিতরে বিভিন্ন পণ্যের ভিতরে লুকিয়ে পাচার হচ্ছে মানুষ। মালগাড়ির ভিতরে লুকিয়ে চলছে অনুপ্রবেশও।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করা মালবাহী ট্রেন থেকে এক বাংলাদেশিকে আটক করে এমন তথ্যই জানিয়েছেন ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে পণ্য নামিয়ে মালবাহী ট্রেন ফিরে আসার সময়ে যেন ভাল করে তল্লাশি করে কোচ বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযোগ, কখনও খালি মালগাড়ি, কখনও পণ্য ভর্তি মালগাড়ির ভিতরে লুকিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে আসছে মানুষ।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দাবি, লকডাউনের পরে মূলত সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য সীমান্তে কড়া নজরদারি শুরু করে হয়েছিল। ফলে, আগে সড়কপথে যতটা সহজে সীমান্ত পেরিয়ে আসা যাচ্ছিল, এখন তা যাচ্ছে না। তাই গত এক মাস ধরে মালগাড়ির ভিতরে করে পালিয়ে আসার নতুন পন্থা নেওয়া হয়েছে। এ কারণে দালালের সাহায্যও নেওয়া হচ্ছে। সীমান্ত পার করিয়ে দিতে দালালেরা ২-৪ হাজার টাকা নিচ্ছে। এ দেশে ঢুকে বাংলাদেশিরা দালালদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকছে। সুযোগ বুঝে দালালেরা তাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এ ভাবে দালালদের সাহায্য নিয়ে লুকিয়ে আসার সময়ে সম্প্রতি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে থেকে ৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বাহিনী। তাদের মধ্যে দু’জন কিশোর ছিল।
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের কুমিল্লার বাসিন্দা মহম্মদ আবু তাহিরকে গ্রেফতার করেছে বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল স্টেশনে। আটক ব্যক্তিকে বনগাঁ জিআরপি থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।
বাহিনী জানিয়েছে, গোয়েন্দা শাখার মাধ্যমে খবর আসে বাংলাদেশ থেকে এ দেশে আসা ফাঁকা ট্রেনে বেআইনি ভাবে এক বাংলাদেশি চলে এসেছে। ট্রেনটি বেনাপোল সীমান্ত পেরিয়ে পেট্রাপোল স্টেশনে পৌঁছতেই জওয়ানেরা ট্রেনের কোচ তল্লাশি শুরু করেন। তাহিরকে হাতেনাতে ধরেন তাঁরা।
বাহিনী জানিয়েছে, জেরায় ওই বাংলাদেশি জানিয়েছেন, সে কুমিল্লায় এক ব্যক্তির সোনার দোকানে কাজ করে। নতুন কাজের খোঁজে এক দালালের সহযোগিতায় এ দেশে এসেছিল। সেই দালালের নাম আকবর মণ্ডল। বাড়ি পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর এলাকায়। এখানে কিছু দিন কাজকর্ম করে তাহিরের পরিকল্পনা ছিল রাজস্থানের অজমেঢ় শরিফ যাওয়া।