Accident: শিশু থেকে প্রৌঢ়, রাতের দুর্ঘটনা কেড়ে নিল মুহুরি পরিবারের ১০ জনকে, শোকে আকুল বাগদা

এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আক্ষরিক অর্থেই বজ্রাহত হয়ে গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পারমাদানের বাসিন্দারা। শোকের আবহ এলাকা জুড়ে।

Advertisement

অমিতা দত্ত

বাগদা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২১ ১৫:১৯
Share:

দুর্ঘটনায় শোকের আবহ গ্রামে। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ

মাঝরাতের দুর্ঘটনা এক লহমায় কেড়ে নিল একই পরিবারের ১০ জন সদস্যের প্রাণ। মৃতের তালিকায় রয়েছেন প্রতিবেশীদেরও কয়েক জন। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আক্ষরিক অর্থেই বজ্রাহত উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পারমাদনের বাসিন্দারা।
শনিবার মৃত্যু হয়েছিল পারমাদনের মুহুরি পরিবারের নবতিপর সদস্য শিবানী মুহুরির (৯২)। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর দেহ নিয়ে নবদ্বীপে শেষকৃত্যের উদ্দেশে রওনা দেন মুহুরি পরিবারের অনেকেই। সঙ্গে ছিলেন প্রতিবেশীদের কয়েক জন। সব মিলিয়ে শবযাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪০। কিন্তু ওই রাতেই নদিয়ার হাঁসখালির ফুলবাড়ি মাঠের কাছে রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে শববাহী লরিটি। তার জেরে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।

Advertisement

শবযাত্রীদের ওই দলটির সঙ্গে আলাদা গাড়িতে ছিলেন পিন্টু হালদার নামে পারমাদন এলাকার এক বাসিন্দা। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে পিন্টু বলছেন, ‘‘দেহ এখান থেকে নবদ্বীপ শ্মশানের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। চিত্রশালী এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে গাড়ি। ওখানে ১৪-১৫ জন মারা যান। হাসপাতালেও ৪-৫ জন মারা যান। ওই বাড়ির ১০ জন মারা গিয়েছেন। তার মধ্যে এক শিশুও রয়েছে।’’

শবযাত্রীদের ওই দলটিতে থাকা মুহুরি পরিবারের অন্তত ১০ জন মারা গিয়েছেন। নিহত হয়েছেন প্রয়াত শিবানীর মেজ ছেলে বৃন্দাবন মুহুরি (৬০), তাঁর দুই মেয়ে, ভাইয়ের স্ত্রী জয়ন্তী মুহুরি (৫০), পুত্রবধূ অনিতা মুহুরি (২২), মেয়ে মুনমুন মুহুরি (২১), নাতনি খুশি (৪) এবং আরও কয়েক জন আত্মীয়। এ ছাড়া বিজয় মণ্ডল (৬৫), হাজারি বিশ্বাস (৮৫), সুকুমার বিশ্বাস (৫২), গোপাল সরকার (৬৩), অমর বিশ্বাস (৫০) ও অমলেন্দু বিশ্বাস (৪৭) নামে দুই ভাই, শ্যাম বিশ্বাস (৫৫)-সহ কয়েক জন প্রতিবেশীরও মৃত্যু হয়েছে ওই দুর্ঘটনায়।

Advertisement

মূলত চাষাবাদই পেশা মুহুরি পরিবারের। তবে কর্মসূত্রে ওই পরিবারের কয়েক জন বিদেশেও থাকেন। এলাকায় অভিজাত পরিবার হিসাবেই পরিচিতি। দুর্ঘটনার খবর আসতেই ভিড় জমতে শুরু করে মুহুরি বাড়ির সামনে। একসঙ্গে এত জনের মৃত্যু খবরে গোটা পাড়া এখন থমথমে। শনিবার রাতের ঘটনার জেরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পারমাদন এলাকায়।

রবিবার রাতেই নিহতদের দেহ নিয়ে আসা হল গ্রামে। পরিবারের হাতে সরকারের তরফ থেকে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, চালক মদ্যপ অবস্থায় থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন বনগাঁর তিন বিজেপি বিধায়কও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement