হাঁসখালির দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা নদিয়ায়। সৎকার করতে যাওয়া শ্মশানযাত্রীদের ম্যাটাডোর পিছন থেকে ধাক্কা মারে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পাথরবোঝাই লরিতে। যার জেরে এখনও অবধি ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বেশ কয়েক জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থেকে শ্মশানযাত্রীদের দলটি শনিবার গভীর রাতে আসছিল নবদ্বীপে। পথে নদিয়ার হাঁসখালির ফুলবাড়ি মাঠের কাছে রাজ্য সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পাথরবোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে শববাহী লরিটি। এর জেরেই শনিবার ভোররাতে ঘটেছে দুর্ঘটনা। শববাহী লরিতে প্রায় ৩৫-৪০ জন ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর শ্রাবণী মুহুরির দেহ-সহ দুর্ঘটনায় আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগরের কাছে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। সেখানেই ১৮ জনকে মৃত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসকরা। বেশ কয়েক জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তাঁদের কলকাতা বা কল্যাণীও নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
আহত এক যাত্রী বলেছেন, ‘‘রাস্তা খারাপ ছিল। কুয়াশাও ছিল। তার মধ্যেই জোরে গাড়ি চলছিল। হাঁসখালির কাছে এসে পাথরবোঝাই লরিতে ধাক্কা মারে আমাদের গাড়ি।’’ দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন মৃত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাঁসখালি থানার পুলিশ।