—নিজস্ব চিত্র।
জোয়ারের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে বকখালির সমুদ্রসৈকতে খালের উপর একটি অস্থায়ী ভাসমান জেটি তৈরি করা হবে। শুক্রবার এই ঘোষণা করেছে গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ (জিবিডিএ)। সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি বকখালিতে পর্যটক টানতে একধিক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা হবে। এ ছাড়া, গঙ্গাসাগর মেলার জন্য একটি অ্যাপ চালু করার কথাও জানিয়েছে পর্ষদ।
শুক্রবার গঙ্গাসাগর বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ (জিবিডিএ)-র ১৬তম বোর্ড মিটিং হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন, পর্ষদের নির্বাহী আধিকারিক শম্ভুদ্বীপ সরকার, চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত মালি-সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিক। বৈঠকে বকখালি এবং গঙ্গাসাগরকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে এই ভাসমান জেটি অন্যতম। শম্ভুদ্বীপ বলেন, ‘‘বকখালি এবং গঙ্গাসাগরে পর্যটনের প্রসারে ওই এলাকা ঢেলে সাজার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একাধিক কাজ হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে বকখালির সমুদ্রসৈকতে একটি খাল তৈরি হয়ে গিয়েছে। ভাটার সময় পর্যটকেরা অনায়াসে সেই খাল পেরিয়ে সমুদ্রে নামতেন। কিন্তু জোয়ারের সময় ওই খাল পার করে ফিরতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়তেন বহু পর্যটক। এমনকি, জোয়ারের সময় খালে পড়ে পর্যটকদের মৃত্যুও হয়েছে। সে ধরনের বিপদ এড়াতে বকখালি সমুদ্রসৈকতে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রে খবর, আপতত বকখালির সৈকতে ওই খালের উপর কংক্রিটের স্থায়ী জেটি তৈরি করা হবে না। বরং খালের উপরে বসানো হবে একটি ভাসমান অস্থায়ী জেটি। ভাটার সময় খাল পেরিয়ে যে সমস্ত পর্যটক সমুদ্রে নামবেন, জোয়ার এলে তাঁরাই ওই ভাসমান জেটি দিয়ে নিরাপদে ফিরে আসতে পারবেন।
শীঘ্রই এই জেটি তৈরির কাজ শুরু করা হবে জানিয়েছে পর্যদ। এ ছাড়া, অ্যাকোয়ারিয়াম, সি-ভিউ গ্যালারি, ফুড কোর্ট ইত্যাদিও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পর্ষদের। সেই সঙ্গে, পর্যটকদের জন্য গঙ্গাসাগরে একটি ১০০ শয্যার ডর্মিটরি তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলার আগে একটি বিশেষ অ্যাপও চালু করা হবে বলে জানিয়েছে পর্ষদ।