মিনি টর্নেডোয় ভেঙে পড়েছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র।
মাত্র দু’মিনিটের টর্নেডো। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে গেল একটা গোটা গ্রাম। কারও বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে, তো কারও ঘর ভেঙে পড়েছে। কোথাও উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। গাছগুলিকে যেন দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে কোনও বিশাল শক্তির অধিকারী কেউ! মঙ্গলবার এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার মিনাখাঁর সালিপুল গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবেড়িয়া গ্রাম।
‘মিনি টর্নেডো’ সাম্প্রতিক কালে নতুন কিছু নয়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগেই উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর, হুগলির ব্যান্ডেলে কয়েক মিনিটের ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল। গঙ্গার জল পাক খেয়ে উঠতেও দেখা গিয়েছে টর্নেডোর কারণে। গত জুলাইয়েও ডায়মন্ড হারবার, সাগরদ্বীপে এমনই মিনি টর্নেডো দেখা গিয়েছিল। মঙ্গলবার হঠাৎ এমন ঘূর্ণিঝড়ে গ্রামবাসীরা হকচকিয়ে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব তছনছ করে দিয়ে গিয়েছে ওই ঝড়।
তালবেড়িয়া গ্রাম যেন একটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এক গ্রামবাসীর কথায়, “হঠাৎ শোঁ শোঁ করে আওয়াজ শুনতে পাই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চোখের নিমেষে গ্রামের উপর আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড়। এমন অপ্রত্যাশিত ঝড়ে সবই কেমন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলাম।” আরও এক গ্রামবাসী জানান, মুহূর্তেই বাড়ির চাল শূন্যে ভাসিয়ে দিল। একের পর এক গাছ উপড়ে গেল। সকলেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটেন। কিন্তু তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখন পুরোপুরি ধ্বস্ত গোটা তালবেড়িয়া গ্রাম।
খবর পেয়েই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসেন হাড়োয়ার বিডিও সমীর রঞ্জন মান্না এবং হাড়োয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর এবং কৃষ জমি ঘুরে দেখেন। তবে ক্ষতির পরিমাণ পুরোপুরি জানাতে পারেননি প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতাল। তাঁরা আপাতত সুস্থ রয়েছেন।