কুলতলিতে শুভেন্দু অধিকারী (মাঝে)। অগ্নিমিত্রা পাল (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের ‘হিংসায়’ জখম বিজেপি কর্মীরা একটু সুস্থ হলে তাঁদের নিয়ে দিল্লি যাবেন বলে জানালেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে এসটি কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনে তিনি অভিযোগ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মঙ্গলবার। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দুর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের পর রাজ্যের শাসকদল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে অত্যাচারিত হচ্ছেন তাঁদের দলীয় কর্মীরা। সংখ্যালঘু, তফসিলিদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করায় লাঞ্ছিত হচ্ছেন মহিলারাও। তাঁদের নিয়ে তিনি দিল্লিতে দরবার করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পঞ্চায়েত ভোটের সময় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট, জয়নগর এবং কুলতলি এলাকায় যান শুভেন্দু। ভোটের পর জায়গায় জায়গায় ব্যালট বাক্স উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসনকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিস্তরীয় ক্ষেত্রে তৃণমূলের গুন্ডা, বিডিও এবং পুলিশ ভোট লুঠ করেছে।’’ এর পর ‘ভোট পরবর্তী হিংসায়’ আক্রান্ত কুলতলির বিজেপি কর্মী সন্ধ্যারানি সর্দারের সঙ্গে থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশ চলছে বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘থানাগুলো সব তৃণমূলের পার্টি অফিস হয়ে গিয়েছে। এখন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নয়, মমতা পুলিশ হয়ে গিয়েছে। থানাগুলোকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পাহারা দিতে হচ্ছে।’’ প্রশাসনের উপর ‘চাপ বাড়াতে’ কুলতলির মৈপীঠে আগামী দু-চার দিনের মধ্যে আবার কর্মসূচি নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু। ‘আক্রান্ত কর্মীদের’ পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘এখানে আসতে একটু সময় লাগলেও আমি পাশে আছি।’’
শনিবার শুভেন্দু গিয়েছিলেন বারুইপুরে। মঙ্গলবার তিনি মগরাহাট-২ ব্লকে যান। সেখানকার উড়েলচাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কয়েকশো বিজেপি কর্মী এবং সমর্থক ঘরছাড়া বলে অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। শুভেন্দুর সঙ্গে সেখানে যান বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কোথাও কোনও ঘরছাড়া নেই। যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা মিথ্যা।’’