Coronavirus Lockdown

এখনও বিদ্যুৎহীন বাদুড়িয়ার কিছু গ্রাম

বিদ্যুতের দাবিতে কয়েক দিন আগেও ৬০-৭০টি এলাকার মানুষ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাদুড়িয়া শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২০ ০৫:০৭
Share:

এ ভাবেই পড়ে রয়েছে ট্রান্সফর্মার। ছবি: নির্মল বসু

আমপানের পরে কেটে গিয়েছে প্রায় তিন সপ্তাহ। কিন্তু এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই বাদুড়িয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে। ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের।

Advertisement

এরই মধ্যে কোনও কোনও গ্রামে বিদ্যুৎ ফিরেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, এক গ্রাম টপকে আরও একটি গ্রামে কী ভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছচ্ছে। বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, জোরকদমে কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে।

বিদ্যুতের দাবিতে কয়েক দিন আগেও ৬০-৭০টি এলাকার মানুষ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। বিদ্যুৎ দফতরের বাদুড়িয়া স্টেশন ম্যানেজার হেনস্থার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ। কিন্তু বিদ্যুৎ পরিষেবা কবে স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। বাদুড়িয়া বিদ্যুৎ দফতর জানিয়েছে, পুরো এলাকায় কম পক্ষে ১৪০০ খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ঠিকাদারের ১৫টি দল দিনরাত কাজ করছেন। এখনও ৩০-৩৫ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়নি। আগাপুর, গুড়দহ, খাসপুর, রঘুনাথপুর, উত্তর দিয়াড়া-সহ একাধিক গ্রামের মানুষ বিদ্যুৎ ফেরাতে ৫০-১০০ টাকা করে চাঁদা তুলছেন। রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের স্বামী হবিবুর রহমান, উত্তর দিয়াড়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলাম, গুড়দহের ওসমান শেখ, যদুরহাটির খগেন দাসদের অভিযোগ, ‘‘বিদ্যুৎ-কর্মীদের ৫-১০ হাজার টাকা না দিলে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এক গ্রাম টপকে অন্য গ্রামে আগে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাচ্ছে।’’

Advertisement

টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যুৎ দফতরের বাদুড়িয়ার স্টেশন ম্যানেজার ব্রহ্মদেব বিশ্বাস। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ব্রহ্মদেব বলেন, ‘‘কিছু কিছু জায়গায় সমন্বয়ের অভাবে কাজে দেরি হচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় কর্মীদের জোর করে অন্য জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। তার ফলে সময় বেশি লাগছে। এখানে প্রায় ৩৯ হাজারের বেশি গ্রাহকের মধ্যে ৬৫-৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ পেয়েছেন। বাকি এলাকায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement