এই জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ছবি: সামসুল হুদা
আদিবাসী পরিবারকে উচ্ছেদ করে জমি দখলের অভিযোগ উঠল শাসক দলের নেতার বিরুদ্ধে। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তাড়দহ পঞ্চায়েতের মাকালতলা এলাকার ঘটনা।
এই এলাকায় প্রায় ১০০ আদিবাসী পরিবারের বাস। স্থানীয় সূত্রের খবর, অধিকাংশ পরিবারকে বাম সরকার জমি পাট্টা দিয়েছিল। অভিযোগ, এখন আদিবাসীদের ওই সমস্ত জমি জোর করে দখল করার চেষ্টা করছে তাড়দহ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা এলাকার তৃণমূল নেতা রাকেশ রায়চৌধুরী। আদিবাসীদের ভয় দেখানো ও মারধর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আদিবাসীদের তরফে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযোগ, ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় বেশ কিছু জমি জবরদখল করে মেছোভেড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা পবিত্র মাহাতো, পুষ্প মাহাতোরা জানান, পূর্বপুরুষদের আমল থেকে এই এলাকায় আমরা চাষবাস করে আসছেন। এখন সেই জমি জোর করে দখল করতে চাইছে স্থানীয় নেতারা। কোনওভাবেই এই জমি ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তুষার ঘোষ বলেন, “এভাবে আদিবাসীদের জমি জবরদখল করা যায় না। এই এলাকার অধিকাংশ জলাজমি। আমরাই একসময় ওই সমস্ত জমি আদিবাসীদের মধ্যে পাট্টা বিলি করেছিলাম। এখন সেই জমি শাসক দল জবরদখল করে নিচ্ছে। জমির দখল ছাড়তে না চাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
উপপ্রধান রাকেশ রায়চৌধুরীর দাবি, “ওখানে বাহাদুর সর্দার নামে আমাদের এক দলীয় কর্মী কিছু জমি লিজ নিয়েছেন। তাই নিয়ে গন্ডগোল করার চেষ্টা করছেন কিছু লোকজন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বদনাম করতে আমার নাম জড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই।”
স্থানীয় বিধায়ক সওকাত মোল্লা বলেন, “শুনেছি ওই এলাকায় জমির লিজ দেওয়া নিয়ে একটা গন্ডগোল হয়েছে। আমরা দলের পক্ষ থেকে কোনওভাবেই আদিবাসীদের জমি থেকে উচ্ছেদ করাকে সমর্থন করি না। যদি সত্যি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”