Royal Bengal Tiger in Sundarbans

রাতভর বাঘের গর্জন, দেখা মিলছে পায়ের ছাপ, সুন্দরবনের কুলতলির ঘুম উড়িয়েছে দক্ষিণরায়

বাঘের খবর পেয়ে গ্রামে চলে এসেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। এসেছে পুলিশও। যদিও সারাদিন খুঁজেও বাঘের দেখা মেলেনি। বন দফতর মনে করছে, বাঘটি মনে হয় গভীর জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কুলতলি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৬
Share:

— প্রতীকী ছবি।

শীত পড়তে না পড়তেই সুন্দরবনে বাঘের উপদ্রব শুরু হয়ে গেল। এ বার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আতঙ্ক দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। সেখানে রাতভর শোনা যাচ্ছে বাঘের গর্জন। দিনে ঘরের আশপাশে দেখা যাচ্ছে বাঘের পায়ের ছাপ। সব মিলিয়ে দক্ষিণরায়ের আতঙ্কে কাঁপছেন স্থানীয় মানুষ।

Advertisement

কুলতলি ব্লকের মৈপিঠ থানা এলাকার ভুবনেশ্বরী অঞ্চল। সেখানেই সারা রাত ধরে বাঘের গর্জন শুনতে পান এলাকার বাসিন্দারা। ফলে রাতে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেনি গোটা গ্রাম। ভয়ে কেউই বাড়ির বাইরেও বার হওয়ার সাহস দেখাননি। সকাল হলে এলাকার বাসিন্দারা জঙ্গলের সামনে ভিড় করেন। তাঁরা মনে করছেন বাঘ লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলেই ঘোরাফেরা করছে।

বন দফতর এবং পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। মৈপিঠ থানার পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা হাজির রয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় বাঘের খোঁজ চালাচ্ছেন। তবে প্রাথমিক ভাবে বন দফতর মনে করছে, বাঘটি আবার গভীর জঙ্গলে ফিরে চলে গিয়েছে। যদিও নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নজরদারি চলবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সরকারি তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে বাঘের হানায় দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ৩০২ জন মানুষ। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। পশ্চিমবঙ্গে ২৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, এই সংখ্যা যে রাজ্যে লক্ষ্যণীয় হারে কমেছে তা-ও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৮ সালে বাংলায় বাঘের পেটে গিয়েছিলেন ১৫ জন। কিন্তু ২০২২ সালে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে এক। এই তথ্য এবং পরিসংখ্যান অবশ্য পুরোটাই জঙ্গলে অর্থাৎ বাঘের স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্রের নিরিখে। তাই বাঘ খাবারের সন্ধানে গ্রামে ঢুকে মানুষ মারার তথ্য এই পরিসংখ্যানে নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement