এখানেই খুন করা হয়েছে অশোককে. নিজস্ব চিত্র।
মধ্যমগ্রামের রাজবাটি এলাকায় মঙ্গলবার এগারোটা নাগাদ অশোক সর্দার জমিতে একটি পাঁচিল দেওয়ার কাজে তদারকি করছিলেন। সেই সময় দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় তাঁর বুকে ও পায়ে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মধ্যমগ্রাম গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর পর ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, তিনি জমি কেনাবেচার গণ্ডগোলের জেরে খুন হয়েছেন ।
পরিবারের লোক নিহতকে বিজেপি কর্মী দাবি করতেই এই খুনের ঘটনা রাজনৈতিক মাত্রা পায়। অভিযোগ ওঠে, তাঁকে খুন করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের লোক ও নিজের ছেলে দাবি করলেন, তাঁরা সক্রিয় বিজেপি কর্মী। মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে বারাসাত হাসপাতালে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, শাসক দল ও প্রশাসনের চক্রান্তে খুন হয়েছেন অশোক সর্দার। হাসপাতালেও রাজনীতি করছে প্রশাসন বলে অভিযোগ পরিবারের।
নিহত অশোক সর্দারের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নারায়ণপুরে। নিহতের পুত্র লাল্টু সর্দার বিজেপি যুব মোর্চার জেলা স্তরের নেতা। লাল্টু জানান, ”রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা খুন করেছে আমার বাবা অশোক সর্দারকে।" স্থানীয় বিজেপি নেতা বিকাশকিশোর দাস বলেছেন, “অশোক সর্দারকে বাঁচানোর চেষ্টা না করে দ্ৰুত তাঁকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা ও নীল নকশা শাসক দল তৈরি করেছে পুলিশ প্রশাসন ও চিকিৎসকদের একাংশের সহযোগিতায়।”
এই অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ বলেছেন, “এ ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির বা তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। সম্পূর্ণ জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণেই খুন।“ এ প্রসঙ্গে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন “দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”