Ganga Sagar Mela 2025

আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, জোর প্রস্তুতি সাগরে

প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দেবেন কপিলমুনির মন্দিরে। যাবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৪
Share:

মেলার আগে রং করা হয়েছে কপিল মুনির মন্দিরের সামনের রাস্তা। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।

আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে কাল, সোমবার গঙ্গাসাগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তুতি ঘিরে শেষ মুহূর্তের তৎপরতা তুঙ্গে। দফায় দফায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা।

Advertisement

শনিবার সাগরে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও দফতরের অধিকর্তা অভিজিৎ পাণ্ডে-সহ আধিকারিকেরা। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো পুণ্যার্থীদের জন্য সমস্ত ব্যবস্থা হয়েছে, যাতে তাঁরা সাগরে এসে পুণ্যস্নান সেরে সুষ্ঠু ভাবে ফিরতে পারেন। প্রস্তুতি প্রায় শেষ।’’

প্রশাসন সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে হেলিকপ্টারে গঙ্গাসাগরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো দেবেন কপিলমুনির মন্দিরে। যাবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়ে। কপিলমুনি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জ্ঞানদাস মোহন্তের সঙ্গেও তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া, গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড ময়দানের পাশে পুণ্যার্থীদের জন্য ১০০ শয্যার হস্টেল, পাথরপ্রতিমায় জেটি, বিভিন্ন স্কুলে অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, ‘পথশ্রী’ প্রকল্পে কিছু রাস্তা, কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাদেশ থেকে মুক্তি পাওয়া এ দেশের ৯৫ জন মৎস্যজীবী-সহ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করবেন তিনি। সাগরে এসে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ভবন ‘ঊর্মিমুখর’-এ থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই মেলার প্রস্তুতি-বৈঠক করবেন। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কর্তারা থাকবেন সেই আলোচনায়।

Advertisement

মন্ত্রী, আধিকারিকেরা এ দিন কাকদ্বীপের লট-৮, কচুবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ড, বেণুবন লঞ্চ ঘাট, গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ ও মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজ়িংয়ের কাজ কেমন চলছে, তা পরিদর্শন করেন। বার বার ভাঙনে গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেখানে পুণ্যার্থীদের স্নান করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা-ও খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা।

জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, মন্দিরের সোজাসুজি সমুদ্রতটে ধস নেমেছিল। নতুন করে তা গড়ে তোলা হয়েছে। ‘বাফার জ়োন’ তৈরি হয়েছে তীর্থযাত্রীদের থাকার জন্য। কচুবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ড ও গঙ্গাসাগর বাস স্ট্যান্ড থেকে মেলা চত্বরে আসারা ১-৫ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত আলোর কাজও শেষ হয়েছে।

এ বছরও গঙ্গাসাগর মেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘কিউআর কোড’ চালু করা হচ্ছে। এই কোড মোবাইলে স্ক্যান করে পুণ্যার্থীরা পানীয় জল, শৌচালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাস স্ট্যান্ড, জেটিঘাটের হদিস-সহ বিভিন্ন পরিষেবার ব্যাপারে তথ্য পেয়ে যাবেন। মেলা চলাকালীন মেলা প্রাঙ্গণ সহ মুড়িগঙ্গা নদীতে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ড্রোন ওড়ানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement