এই পোস্টারই লাগানো হয়েছে নিজস্ব চিত্র।
ইয়াসের ত্রাণ বণ্টন নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামিমা শেখের নামে পড়ল পোস্টার। সেই পোস্টার লাগানো হয়েছে তৃণমূলের তরফেই। সাতগাছিয়া বিধানসভার গোতলাহাট, সুলতানপুর, গোবিন্দপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় রাতের অন্ধকারে পড়ে পোস্টার। শনিবার সকালে সেই পোস্টার দেখতে পান এলাকার সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, ইয়াসের সময় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্থানীয় নেতা শ্যামল মণ্ডলের বাড়িতে ত্রাণ সামগ্রী মজুত করে রাখা হয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে সমর্থন করেছেন শ্যামল। অথচ তাঁর বাড়িতেই দুর্গত মানুষদের জন্য ত্রাণ পাঠিয়েছেন সভাধিপতি। এই নিয়েই ক্ষুব্ধ পঞ্চানন অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। কেন ত্রাণ সামগ্রী ওই ব্যক্তির বাড়িতে রাখা হয়েছে তার জবাব চাওয়া হয়েছে পোস্টারে।
এই বিষয়ে সামিমা বলেন, ‘‘শ্যামল মণ্ডল শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোটের সময় কাজ করতে পারেননি। উনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সৈনিক। সুব্রত বক্সীর আমল থেকে তিনি দলে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা যে দলেরই হোন না কেন সবাই ত্রাণ পাবেন। দলের মধ্যে কারও সমস্যা থাকলে অফিসে জানাতে পারেন।’’ অন্য দিকে শ্যামল বলেন, ‘‘বিধায়ক ও সভাধিপতির নির্দেশেই আমার বাড়িতে ত্রাণ রাখা হয়েছে। পোস্টারে আমার নাম লিখে কুৎসা করতে চাইছে একাংশ।’’
পোস্টার নিয়ে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপি-র ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, ‘‘আমপানের সময় ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির কথা গোটা বাংলার মানুষ জানেন। ইয়াসের পরেও সেই একই দুর্নীতি করতে চাইছে তৃণমূল। ত্রাণ নিয়ে স্বজনপোষণ হওয়ায় তৃণমূলের কর্মীরাই দলের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছে।’’