পেট্রাপোল সীমান্ত ধরে এগোচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। —নিজস্ব চিত্র
তিন দিন বন্ধ থাকার পর ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে ফের স্থলবাণিজ্য শুরু হল। বাংলাদেশে নতুন করে অশান্তির ঘটনায় পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়েও সোমবার দুপুরের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আটকে যায় একাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ট্রাকে থাকা পচনশীল পণ্য পচতে শুরু করায় বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে থমকে যাওয়া স্থলবাণিজ্য পুনরায় চালু করতে বুধবার দুই দেশের সীমান্ত মধ্যবর্তী ‘নো ম্যান্স ল্যান্ডে’ বৈঠক হয়। তার পরেই কাটে অচলাবস্থা।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে ট্রাক চলাচল শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের দিক থেকে ১০০টি ট্রাক ভারতে আসবে এবং ভারতে থেকে ৩৫০টি পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে যাবে বলে জানান তিনি।
সোমবার দুপুর তিনটের পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যায় পেট্রাপোলে। পেট্রাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বেনাপোল বন্দরে পণ্য নিয়ে ৭২৪টি ভারতীয় ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেখানে ভারতীয় চালকেরাও আছেন। বাংলাদেশে অশান্তির কারণে তাঁরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। ট্রাক রেখেই এ দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। ভারতের দিকে, পেট্রাপোলে সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ় কর্পোরেশনের ট্রাক পার্কিংয়ে প্রায় ৬০০ ট্রাক পণ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বলে জানা গিয়েছিল। মঙ্গলবার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে কিছু পণ্যবাহী ট্রাক গেলেও বন্ধ ছিল শের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোলের গেট।
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং দেশত্যাগের পরেই বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে। চলে অবাধে লুটপাট। ঢাকা-সহ দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় মুজিবের মূর্তিও ভাঙা পড়ে। এই অশান্তির আবহে সোমবার দুপুর থেকে ফের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ফের সেখানে ট্রাক চলাচল শুরু হল।