গোসাবার দ্বীপাঞ্চল থেকে সাইক্লোন সেন্টারের পথে স্থানীয় বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র
ইয়াস-আতঙ্কে সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চল এবং উপকূলবর্তী এলাকাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল থেকেই ওই এলাকাগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানো শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকার প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সাগর ব্লকের ঘোড়ামারা এবং নামখানার মৌসুনি দ্বীপের ভাঙন কবলিত এলাকায় আগেই সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছিল পুলিশ। এ বার দ্বীপ এবং উপকূলবর্তী এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সাইক্লোন সেন্টারগুলিতে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের লঞ্চে তুলে নিয়া যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। নিজস্ব চিত্র
সোমবার সকালে সাগর থানার ওসি বাপি রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলাদল এবং প্রশাসনিক কর্তারা পৌঁছন ঘোড়ামারা দ্বীপে। সেখানকার খাসিমারা, চুনপুড়ি এবং রায়পাড়া এলাকার কয়েক হাজার বাসিন্দাকে লঞ্চে চড়িয়ে নিয়ে আসা হয় সাগরে। ঘোড়ামারার বাসিন্দাদের জন্য স্থানীয় কচুবেড়িয়া বিবেকানন্দহাইস্কুল, সাইক্লোন সেন্টার এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্কুলে রাখা হয়েছে দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দাদের। নিজস্ব চিত্র
নামখানার বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুরের নেতৃত্বে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং প্রশাসনিক কর্তারা মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া, বাগডাঙা, কুসুমতলার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে সাইক্লোন সেন্টার এবং স্থানীয় হাইস্কুলে সরিয়ে নিয়ে যান। তাঁদের জন্য ২০টির বেশি স্কুল এবং ৪টি সাইক্লোন সেন্টারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একই ভাবে বারুইপুর পুলিশ জেলার বাসন্তী, মৈপিঠ এবং ঝড়খালি উপকূল থানার পক্ষ থেকেও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সাইক্লোন সেন্টারে সরিয়ে আনা হচ্ছে।
দ্বীপাঞ্চলে প্রচার প্রশাসনের। নিজস্ব চিত্র
সাইক্লোন সেন্টার, হাইস্কুল, কমিউনিটি হলে দুর্গত এলাকার মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানীয়জল এবং ওষুধ মজুত রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উপকূল এলাকার প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোই লক্ষ্য প্রশাসনের।