—প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধর এবং অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত বৃদ্ধার নাম সালেহা বিবি। সোমবার সন্ধ্যা ৫টা নাগাদ দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বৃদ্ধার বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে মারধরের পর খুনের চেষ্টা চলে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। আক্রান্ত ওই বৃদ্ধাকে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তবে কী কারণে এই আক্রমণ, কেন ওই বৃদ্ধাকে খুনের চেষ্টা করা হয়, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বৃদ্ধার স্বামী আব্দুল ওয়াহাব জানিয়েছেন, সোহাই এলাকায় তাঁদের আর একটি বাড়ি রয়েছে। মির্জানগর এলাকায় বাড়িতে তাঁর স্ত্রী থাকেন। প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন। কেন তাঁর স্ত্রীকে এ ভাবে আক্রমণ করা হল, সেই প্রশ্নের জবাব নেই বৃদ্ধের কাছেও। এই হামলার নেপথ্যেই বা কারা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আব্দুলের দাবি, কয়েক জন প্রতিবেশীর সঙ্গে মাসখানেক আগে খুঁটিনাটি কিছু বিষয় নিয়ে অশান্তি হয়েছিল তাঁদের। তখন স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাই এই ঘটনার নেপথ্যেও ওই প্রতিবেশীরা থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তিনি।
বৃদ্ধার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দুই প্রতিবেশী জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই বাড়ির এক ভাড়াটিয়া জানিয়েছেন, উপরের ঘরে ভাড়ায় থাকেন তিনি। নীচে বৃদ্ধাকে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়াশব্দ পাচ্ছেন না পেয়ে ঘরের মধ্যে ঢোকেন তিনি। কিন্তু ঘরে পা দিয়ে চমকে যান। দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বৃদ্ধা।