নাবালিকার বাবা-মা কাজে বেরিয়ে গেলে চুপিচুপি বাড়িতে ঢুকতেন প্রতিবেশী দাদু। —প্রতীকী চিত্র।
কাউকে কিছু বললেই প্রাণনাশ হবে। মেরে ফেলা হবে বাবা-মাকে। এমন হুমকি দিয়ে এক নাবালিকাকে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী দাদুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে এই অভিযোগে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম প্রদীপ রায়। তিনি ১৩ বছরের এক বালিকার বাবা ও মাকে খুন করার হুমকি দিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ। গত কয়েক মাস ধরে এ ভাবে বছর ৫৫-র প্রৌঢ়ের যৌনলালসার শিকার হচ্ছিল ছোট্ট মেয়েটি। শেষমেশ এক প্রতিবেশিনীর মাধ্যমেই সামনে এসেছে এই অভিযোগ। এর পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতার বাবা এবং মা দু’জনেই কর্মরত৷ তাঁরা কাজে চলে গেলে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দুপুরবেলা বাড়িতে ঢুকতেন অভিযুক্ত৷ নাবালিকাকে একা পেয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ৷ এমনই এক দুপুরে তাঁকে ওই বাড়িতে ঢুকে দেখে এক প্রতিবেশীর সন্দেহ হয়। তিনি ওই প্রৌঢ়ের পিছনে পিছনে ঘরে ঢোকেন৷ এর পর হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁকে৷
নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৪৮, ৩৫৪এ, ৩৭৬ (৩), ৫১১, ৫০৬, ৫০৯ এবং ৮ নম্বর পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ৷ এ নিয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘‘নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷’’