canning

কিশোরীর মৃত্যুতে খুনের নালিশ 

ক্যানিং মহিলা থানায় দায়ের করা অভিযোগে সুমিত্রার বাবা বিশ্বজিৎ সর্দার জানান, মেয়ে এবং তাঁদের বাড়ির লোককে মারধর করেছেন বিশ্বজিৎরা। বিকাশ-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

ক্যানিং শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২০ ০১:০০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের তালদি পঞ্চায়েতের বয়ারসিং গ্রামে। মৃতের নাম সত্যবতী বিশ্বাস (১৬)। বাড়ি থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তার। সত্যবতীকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের দাবি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মেয়েটির দাদা বিকাশ বিশ্বাস চার বছর আগে জয়নগর থানার মানিকপুরের বাসিন্দা সুমিত্রা সর্দারকে বিয়ে করেন। তাঁদের বছর চারেকের সন্তান রয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকেই বিকাশ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সুমিত্রার বাপের বাড়ির লোকেদের বিবাদ শুরু হয়। সুমিত্রাকে বাপের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। এ বিষয়ে একাধিকবার জয়নগর থানার পুলিশ মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিল। মাস চারেক আগে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে বিকাশ বয়ারসিং গ্রামে চলে আসেন। অভিযোগ, ৬ জানুয়ারি নতুন করে অশান্তি শুরু হয় ওই দম্পতির।

সুমিত্রার বাপের বাড়ির সদস্যেরা বিকাশের বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে সুমিত্রা ও তাঁর সন্তানকে নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগ। ক্যানিং মহিলা থানায় দায়ের করা অভিযোগে সুমিত্রার বাবা বিশ্বজিৎ সর্দার জানান, মেয়ে এবং তাঁদের বাড়ির লোককে মারধর করেছেন বিশ্বজিৎরা। বিকাশ-সহ তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়।

Advertisement

বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে হাজিরা দিতে যান বিকাশরা। সন্ধ্যায় ফিরে দেখেন, ঘরে সত্যবতীর দেহ ঝুলছে। পরিবারের অভিযোগ, সুমিত্রার পরিবারের লোকেরা সত্যবতীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘আমরা কেউ এই ঘটনায় জড়িত নই। পুলিশ তদন্ত করে সত্যিটা বের করুক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement