বনগাঁয় মতুয়া ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মিছিল তৃণমূলের। —নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের আগে মতুয়াদের নিয়ে মিছিল করে চমক দিলেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার বনগাঁয় হাজার পাঁচেক মতুয়া ভক্তকে নিয়ে মিছিল করে তৃণমূল। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ পুরসভার কয়েক জন তৃণমূল প্রার্থীও। বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের গড়ে তৃণমূলের এই মিছিল ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, সোমবারের এই মিছিল বিজেপি-র পায়ের তলার মাটি সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও, বিজেপি-র বক্তব্য, ওই মিছিলে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে।
সোমবার বনগাঁ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মিছিল শুরু হয়। ওই মিছিল বনগাঁ ঘড়িরমোড় ঘুরে শিমূলতলায় এসে শেষ হয়। মিছিলে ছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলপ্রার্থী গোপাল শেঠ, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নারায়ণ ঘোষ-সহ আরও কয়েক জন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর। তাঁর কথায়, ‘‘সারা ভারত মতুয়া সম্প্রদায়ের বনগাঁ মহকুমা কমিটি ২২টি ওয়ার্ডে তৃণমূলপ্রার্থীদের সমর্থনে এই প্রচার চালিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতকে শক্ত করতেই এই মিছিল। এনআরসি নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিল। মানুষ বুঝতে পেরেছেন, ওরা কিছু করবে না। তাই তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।’’
তৃণমূল প্রার্থী গোপালের বক্তব্য, ‘‘মতুয়ারা রাস্তায় নেমে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে রয়েছেন। ঠাকুর হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের যে শিক্ষাব্যবস্থা, তার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন।’’
তৃণমূলের মিছিল নমিয়ে কটাক্ষ করছে বিজেপি। বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার বক্তব্য, ‘‘মমতাবালা ঠাকুর সত্যকে স্বীকার করছেন না। মমতা ঠাকুর তো ঠাকুর বংশের প্রতিনিধি নন। উনি ভিন্ন বংশ থেকে এসেছেন। আর মতুয়াদের মিছিলে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছে। ওঁরা প্রমাণ পেয়ে যাবেন মতুয়ারা কাদের পাশে আছেন।’’