সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় সচেতনতার প্রচার। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে একের পর এক ওমিক্রন সংক্রমণের খবর সামনে আসতেই কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু হল শহর লাগোয়া রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকেই মাস্কবিহীন পথচারীদের ধরপাকড় শুরু করল পুলিশ। গণ পরিবহণের চালক ও যাত্রীদের উপরেও বিশেষ নজরদারি চালানো হল। তবে গ্রেফতার ও জরিমানার পাশাপাশি ছিল সচেতনতার প্রচারও।
এ দিন সকাল থেকেই সোনারপুর, রাজপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি টহলদারি শুরু হয়। সূত্রের খবর, বিকেল পর্যন্ত ৪০ জন মাস্কবিহীন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বাধিক ৩০০ টাকা জরিমানা ধার্য হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। এ দিন সচেতনতার প্রচারে জানানো হয়েছে, পরবর্তী পর্যায়ে আরও কঠোর হবে প্রশাসন। বিধিভঙ্গকারীকে সরাসরি গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হবে।
কলকাতায় ফের করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে থাকায় সংলগ্ন রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকাতেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর পরে রাজপুর-সোনারপুর এলাকায় সংক্রমণ দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল। ওই সময়ে টানা তিন দিন বাজার-দোকান বন্ধ রাখার বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর প্রধান পল্লব দাস বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগে কঠোর পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। নজরদারি অভিযান চালানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ সোনারপুরের (উত্তর) বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম বলেন, ‘‘কয়েক দিন আগে গঙ্গাসাগরের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, শহর সংলগ্ন এলাকায় করোনা যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে, তা দেখতে। প্রাথমিক অবস্থাতেই পুলিশ ও প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা চালু করা হবে।’’ বারুইপুর পুলিশ জেলা সূত্রের খবর, বর্ষবরণের উৎসবেও নজরদারি থাকছে। মাস্কবিহীন ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চালানো হবে।