গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
সবার অজান্তে প্রতিবেশী বধূর একান্ত মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন যুবক। সেই ছবি নিয়ে শুরু করেন ‘ব্ল্যাকমেলিং’। শারীরিক সম্পর্কের জন্য প্রতিবেশীকে জোর করা এবং তার প্রতিবাদ করায় সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। এ ভাবে বধূকে ফাঁদে ফেলতে গিয়ে নিজে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ওই যুবক। পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানার কুসুমপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবকের নাম মলয় ঘোড়াইকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামের এক জন সদ্য বিবাহিতার ‘প্রেমে’ পড়েন অভিযুক্ত। ওই বধূর কাছাকাছি আসার জন্য বিভিন্ন ভাবে ছক কষতেন অভিযুক্ত। এক বার ওই মহিলার অজান্তে তাঁর বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো তোলেন। পরে ওই ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে বধূকে শারীরিক সম্পর্কের জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগেও গ্রামের একাধিক বধূকে এ ভাবেই কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিযুক্ত। বার বার তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে স্থানীয়রা সেগুলো আলোচনা করে মিটিয়ে নিতেন। অভিযুক্ত জানাতেন, আর এ রকম কাজ করবেন না। কিন্তু কিছু দিন গেলেই আবার ওই কাজ করতেন। এ বার সদ্য বিবাহিত বধূর সঙ্গে যে কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকায়। বার বার যুবকের কাছে কুপ্রস্তাব পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই বধূ। অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবককে পাকড়াও করেছে মারিশদা থানার পুলিশ। শনিবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
মারিশদা থানার পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি তাঁর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।