Barrackpore

মণ্ডপের কাঠামো খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু

স্থানীয় সূত্রের খবর, মন্দিরে বার্ষিক পুজোর আয়োজনে মণ্ডপ বাঁধা হয়েছিল। মণ্ডপের উপর দিয়ে বিদ্যুৎবাহী তার গিয়েছিল। বাঁশ খোলার সময়ে সেটা খেয়াল না করায় বাপ্পার দেহ ছুঁয়ে যায় ওই তার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৭:৩৬
Share:

বাপ্পা দে।

মন্দিরে পুজোর মণ্ডপ খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম বাপ্পা দে (৩১)। শনিবার বেলার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে ব্যারাকপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কালী মন্দিরে। পুলিশ সূত্রের খবর, ব্যারাকপুরেরই বালতিবাগান এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাপ্পা। তিনি মণ্ডপের কাঠামো বাঁধার কাজ করতেন। বাড়িতে তাঁর বয়স্ক বাবা-মা আছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, মন্দিরে বার্ষিক পুজোর আয়োজনে মণ্ডপ বাঁধা হয়েছিল। মণ্ডপের উপর দিয়ে বিদ্যুৎবাহী তার গিয়েছিল। বাঁশ খোলার সময়ে সেটা খেয়াল না করায় বাপ্পার দেহ ছুঁয়ে যায় ওই তার। চিৎকার করে মুহূর্তেই ছিটকে পড়েন তিনি। তাঁকে ব্যারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ায় বাপ্পার শরীর রক্তশূন্য হয়ে গিয়েছিল। এই দুর্ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে রাস্তার ধারের পুজোর আয়োজন নিয়ে। উঁচু কাঠামো তৈরি বা বাড়ির নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু নিরাপত্তা-বিধি আছে। বিদ্যুৎ, দমকলের মতো বিভাগের অনুমতিও নিতে হয়। কিন্তু পাড়ার ছোট ওই পুজোয় সে সবের বালাই ছিল না বলেই বাসিন্দাদের অভিযোগ।

এ দিন বাপ্পাকে দেখতে হাসপাতালে যান ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান উত্তম দাস। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কাঠামো খোলার সময়ে একটু সতর্ক হলে দুর্ঘটনা ঘটত না। দ্রুত ময়না তদন্ত করে দেহ পরিবারকে দেওয়ার ব্যবস্থা যেমন করব, তেমনই কী ভাবে ওই পরিবারের পাশে থাকা যায়, সেটাও ভাবছি।’’

Advertisement

বাপ্পার বাবা মদন দে আগে রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। এখন কাজ করতে পারেন না। মা শ্যামা দে পরিচারিকার কাজ করেন। সামান্য সেই আয়ে সংসার চলে না। মায়ের আক্ষেপ, ‘‘কেন খেয়াল করল না মাথার উপরে তার আছে!’’ আয়োজকদের পক্ষে স্থানীয় পুর প্রতিনিধি সুরেন্দ্রকুমার বর্মা বলেন, ‘‘বাপ্পার মৃত্যুতে আমাদের মন ভারাক্রান্ত। ওর পরিবারের পাশে থাকব, এর বেশি কিছু বলার অবস্থায় আমরা নেই।’’

রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওই পুজোর মণ্ডপ বিদ্যুৎবাহী তারের কাছাকাছি ছিল কি না এবং বিদ্যুৎ দফতরের অনুমোদন ছিল কি না, তা-ও দেখা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement