Murder

স্বামী-শাশুড়ির মার থেকে বাঁচতে দৌড়েছিলেন, ছোড়া ইটের ঘায়ে মৃত্যু পাথরপ্রতিমার বধূর

বাড়িতে অর্থাভাবের কারণে অশান্তি লেগেই থাকত বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। স্বামী-স্ত্রীর প্রায়শই অশান্তি হত। কিন্তু সোমবার তাঁদের বিবাদ চরমে ওঠে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২০:১২
Share:

স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন স্বামী। —প্রতীকী চিত্র।

দাম্পত্য কলহের জেরে ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার ভোরে এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থানার পাথরপ্রতিমা এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, নিহত বধূর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বধূর নাম সাবিলা বিবি (৩৮)। বছর ২০ আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় শেখ সোলেনুরের। ওই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে। এক মেয়ের বিয়েও হয়েছে। বড় ছেলে কাজের সূত্রে থাকেন ভিন্‌ রাজ্যে। ছোট ছেলে থাকে বাড়িতেই। কিন্তু সোলেনুরের স্থায়ী কোনও কাজ ছিল না। বাড়িতে অর্থাভাবের কারণে অশান্তি লেগেই থাকত বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। স্বামী-স্ত্রীর প্রায়শই অশান্তি হত। কিন্তু সোমবার তাঁদের বিবাদ চরমে ওঠে। সাবিলাকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনও মারধর করেন বলে অভিযোগ। তুমুল অশান্তির মধ্যে সাবিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন।

অভিযোগ, ঠিক সেই সময়ে স্বামী এবং শাশুড়ি তাঁর পেছনে ধাওয়া করেন। এর পর রাস্তায় পড়ে থাকা ইট তুলে সাবিলার দিকে ছোড়েন স্বামী। ঠিক মাথার পিছনের অংশে লাগে তাঁর। অকুস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাবিলা। চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দে প্রতিবেশীরা বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাঁরা সাবিলাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চমকে ওঠেন। অন্য দিকে, সাবিলার স্বামী এবং শাশুড়ি তখন পালানোর চেষ্টা করেন। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। স্থানীয়রা সোলেনুরকে ধরে আটকে রাখে। অন্য দিকে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে ওই বধূর তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সোলেনুরের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমবার বিকেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ নিয়ে সুন্দরবনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) রাকেশ মণ্ডল বলেন, ‘‘ধৃতের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন-সহ খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। সোলানুরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে বুধবার আদালতে তোলা হবে।’’ এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement