TMC-BJP clash

ভাঙড়ের পর কুলতলি, তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে উত্তেজনা, পুলিশের রুটমার্চ এলাকায়

মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই ঘটনায় জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কুলতলি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৩৪
Share:

কুলতলিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ। প্রতীকী ছবি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে চাপান-উতোরের আবহে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে এ বার উত্তপ্ত হল জেলার কুলতলি ব্লক। মৈপীঠ-বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ওই ঘটনায় জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষ। পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Advertisement

শাসক শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এলাকায় অশান্তি পরিবেশ তৈরি করতেই তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। রবিবার সকালে পরিকল্পনা করে স্থানীয় কয়েক জন তৃণমূলকর্মীর উপর হামলা হয়। কুলতুলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশ মণ্ডলের দাবি, ৫ তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন। বেশ কয়েক জন আশঙ্কাজনক অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে দাবি করে কুলতলির তৃণমূল ব্লক সভাপতি পিন্টু প্রধান।

অন্য দিকে, বিজেপির দাবি, মৈপীঠ-বৈকুন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কিশোরীমোহনপুর এলাকার বাসিন্দা পরেশ দাসের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনার জন্য বিজেপি কর্মীরা একত্রিত হলে তাঁদের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক ও কুলতলি বিধানসভা কেন্দ্রের ইনচার্জ উত্তম হালদারের দাবি, বেশ কয়েক জন দলীয় কর্মী আহত হয়েছেন শাসকদলের হামলায়।

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, দু’পক্ষের মোট ৬ জন আহত হয়েছেন ওই ঘটনা। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। রুটমার্চও করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement