—প্রতীকী চিত্র।
রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ডিঙিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঢুকেছিলেন জামাই। তার পর ভোজালি দিয়ে একে একে স্ত্রী, শ্বশুর এবং শাশুড়িকে কোপানোর অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। বেহালার পর্ণশ্রী এলাকার ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় তিন জনই এখন চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। বস্তুত, গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে উত্তাল পর্ণশ্রীতে এই নতুন অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পর্ণশ্রী থানার বিজি প্রেস এলাকার একটি বাড়িতে শনিবার সকালে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে শ্বশুরবাড়ির পাঁচিল দিয়ে উঠে ছাদের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢোকেন জামাই। শনিবার সকালে জামাইকে ঘরের মধ্যে দেখে পরিবারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে মারধর করছিলেন অভিযুক্ত। সেই সময় বাড়ির কর্তা এবং গিন্নি তাঁদের মেয়েকে ছাড়াতে গেলে জামাই তাঁদের উপর ভোজালি নিয়ে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
প্রথমে অস্ত্র বার করে শ্বশুরের মাথায় কোপ মারেন জামাই। তার পর শাশুড়িকে কোপ দেন এবং শেষে স্ত্রীকেও ভোজালি দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। তিন জনের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান ওই বাড়িতে। অভিযুক্ত জামাইকে ধরতে যান প্রতিবেশীদের এক জন। অভিযোগ, তাঁকেও তখন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন অভিযুক্ত। পরে অবশ্য বেশ কয়েক জন মিলে ওই যুবককে ধরে ফেলেন। প্রতিবেশীরা মিলে জামাইয়ের হাত-পা বেঁধে রেখে বসিয়ে রাখেন। পাশাপাশি জখম তিন জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানায়। পুলিশ এসে জামাইকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি ভোজালি উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ পর্ণশ্রী থানা এলাকায় একটি গণধর্ষণের অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের আগামী ১৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।