—প্রতীকী চিত্র।
পরীক্ষার ফল দেখে সিংহভাগ পরীক্ষার্থীর চোখ কপালে। সন্তানের নম্বর শুনে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় বাবা-মা। কারণ? পরীক্ষায় মোট নম্বরের বেশি পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর একটি নার্সিং কলেজের ঘটনা।
রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস্ প্রতিষ্ঠানে বিএসসি নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের সেকেন্ড সেমেস্টারের পরীক্ষা হয়েছে গত জানুয়ারি মাসে। ফল বেরিয়েছে সদ্য। পরীক্ষার পূর্ণমান ৩০০। ফল বেরোতে দেখা গেল কোনও পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ৩০০-র মধ্যে ৩১০। কেউ ৩১৫ তো কেউ একেবারে ৩৩০! বেশ কয়েক জন পরীক্ষার্থীর এই নম্বর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই ফল প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। দুঃখপ্রকাশ করে তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন করে পরীক্ষার খাতা দেখা হচ্ছে। এমন নম্বরের ‘ছড়াছড়ি’র ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। নিজের নম্বর দেখে এক পরীক্ষার্থী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘বেশ মজার কিন্তু! আমি ৩০০-র মধ্যে ৩১৫ পেয়েছি।’’ বলেই হেসে ফেলেন ওই নার্সিং ছাত্রী।
কী ভাবে এই ভুল? বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রিয়াজ বাশা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এটা প্রযুক্তিগত ভুলে হয়েছে। কয়েক জনের নম্বর এদিক-ওদিক হয়েছে। কিন্তু যাঁরা কৃতকার্য হয়েছেন এবং যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, সেই হিসাবে কোনও গোলমাল হয়নি।’’ তাঁর আরও ব্যাখ্যা, বার্ষিক পরীক্ষা থেকে এই প্রথম বার সেমেস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু ‘প্যারামিটার’ এদিক-ওদিক হয়ে গিয়েছে। যেমন, ‘ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট’-এর নম্বর যোগ করে দেওয়া হয়েছে লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে। তবে ভুল যেমন হয়েছে, শীঘ্রই তার সংশোধনও হয়েছে।
সংশোধনের পর দেখা গেল ২৭৫ নম্বর পাওয়া পরীক্ষার্থীর নম্বর রাতারাতি হয়ে গিয়েছে ২২৭। তবে তাঁদের ‘গ্রেড’-এ কোনও হেরফের না-হওয়ায়, পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।