তবে নির্যাতিতার স্বামী ধনঞ্জয় দাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘‘স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত। টাকা পয়সার ভাগ চাইত। না দেওয়াতে সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’
নিজস্ব চিত্র।
স্বামী উভকামী। বিয়ের আগে ভাই পরিচয় দিয়ে পুরুষ প্রেমিককে বাড়িতে রেখেছিলেন তিনি। এরপর স্ত্রীকেও সেই পুরুষ প্রেমিকের সঙ্গে সহবাসের জন্য স্বামী বাধ্য করত বলে অভিযোগ। শিক্ষক স্বামীর এমনই কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতে চক্ষু চড়কগাছ ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রাজারতালুকের বাসিন্দাদের। সুবিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ নির্যাতিতা ওই মহিলা। ইতিমধ্যেই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম শুভঙ্কর জানা। তিনি স্থানীয় ধনবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দা হলেও অভিযুক্ত শিক্ষক ধনঞ্জয়ের বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তিরিশের ওই নির্যাতিতা মহিলার বাপের বাড়ি ফলতার দিঘিরপাড়ে। গত ৮ মাস আগে ধনঞ্জয় দাসের সঙ্গে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়েছিল। ধনঞ্জয় পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামীর প্রেমিক ও স্বামী এক সঙ্গে ওই গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন করত। পাশবিক অত্যাচার থেকে বাঁচতে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। প্রথমে ভূষণা মহিলা সমিতির দ্বারস্থ হন। এরপরই বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযুক্ত স্বামী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূ।
এই ঘটনায় পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, বধূ নির্যাতন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। এ দিন মহিলার পাশে দাঁড়াতে থানায় হাজির হয়েছিলেন মহিলা সমিতির সম্পাদক রামিয়া সিপাই এবং ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি অরুময় গায়েন। অরুময় বলেন, ‘‘যে পাশবিক অত্যাচারের কথা নির্যাতিতা জানিয়েছেন তা নির্মম এবং অমানবিক। আমি চাই অভিযুক্তরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক।’’
তবে নির্যাতিতার স্বামী ধনঞ্জয় দাস অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ‘‘স্ত্রী মানসিক রোগে আক্রান্ত। টাকা পয়সার ভাগ চাইত। না দেওয়াতে সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।’’