আহত স্ত্রী প্রিয়া মোল্লা। —নিজস্ব চিত্র।
অশান্তির জেরে স্ত্রীর ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে! মঙ্গলবার রাতে বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৭ নম্বর ঢুঁড়ি তিতকুমার গ্রামে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মহিলার নাম প্রিয়া মোল্লা। মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অভিযুক্ত স্বামী রাজীব মোল্লার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রিয়ার পরিবার। প্রিয়ার পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন রাজীব। সেখানেই এই কাণ্ড ঘটান তিনি। আচমকাই স্ত্রীর ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন। পুরো ঘটনায় হতভম্ব হয়ে যান প্রিয়ার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে বাসন্তী থানায় রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রিয়ার বাবা সুরজ মোল্লা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রিয়া এবং রাজীবের বাড়ি পাশাপাশি দুই গ্রামে। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক বছর বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার বিকেলে প্রিয়ার শরীর খারাপ হওয়ায় তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন তাঁর মা। শারীরিক অসুস্থতার জেরে প্রিয়া বাপের বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে যান। রাত ৯টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি পৌঁছন রাজীব। সেখানে গিয়েই শ্বাশুড়ির কাছে স্ত্রীর খোঁজ নেন তিনি৷ এর পরে প্রিয়ার ঘরে গিয়ে তাঁর কাছে জল চান। অভিযোগ, জল খাওয়ার পরেই প্রিয়ার ঠোঁট কামড়ে ধরেন রাজীব। ঠোঁটের বেশ খানিকটা অংশ ছিঁড়ে নেন। প্রিয়ার চিৎকারে তাঁর মা ছুটে এলে রাজীব তাঁকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। এর পর প্রিয়াকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আপাতত তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে প্রিয়ার মা আরজিনা খাতুন বলেন, ‘‘আমার মেয়ের উপর হামলা চালানোর পর আমাকেও মারধর করে। আমার পা ধরে বলে ‘তোকেও শেষ করব’।’’
ইতিমধ্যেই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। কেন অভিযুক্ত স্বামী হঠাৎ এই কাণ্ড ঘটালেন, তা জানতেও পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।