ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
কম উপস্থিতির কারণে ছ’জন ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় বসার অনুমতি না দেওয়ায় স্কুলের মধ্যে তাণ্ডব অভিভাবকদের। সোমবার কামারহাটির দক্ষিণেশ্বর শ্রী শ্রী সারদাদেবী বালিকা বিদ্যামন্দির ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুলে ঢুকে প্রধানশিক্ষিকার চেয়ারে বসে প্রধানশিক্ষিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। সেই ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। মঙ্গলবার ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে স্কুলের মধ্যে আত্মঘাতী হওয়ার হুমকি দিতেও দেখা গিয়েছে ওই পড়ুয়াদের। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই জোর হইচই পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কম উপস্থিতির কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে একাদশ শ্রেণির ছ’জন ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, এর পরই ওই ছয় ছাত্রীর অভিভাবকেরা স্কুলের ভিতরে ঢুকে শিক্ষিকাদের হুমকি দেন। পরীক্ষায় বসতে না দেওয়া হলে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে আত্মহত্যা করার হুমকিও দেয় এক ছাত্রী। এর পাশাপাশি, স্কুলের প্রধানশিক্ষিকার ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালানোরও অভিযোগ উঠেছে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রধানশিক্ষিকাকে তাঁর চেয়ার থেকে তুলে সেই চেয়ারেই বসে পড়েন এক অভিভাবক। এর পর তিনি টেবিল চাপড়ে প্রধানশিক্ষিকা-সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দক্ষিণেশ্বর সারদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে দক্ষিণেশ্বর থানার পুলিশ। এর পর মঙ্গলবার সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। তবে ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণেশ্বর সারদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলটি তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক মদন মিত্রের বিধানসভা এলাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের এই ধরনের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ প্রসঙ্গে এলাকার শাসকদলের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএম।