তদন্ত: ঘটনাস্থলে ফরেনসিক দল। নিজস্ব চিত্র
বনগাঁর শিবপুরে জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই সদস্যের একটি দল গ্রামে আসে। তাঁরা ঘটনাস্থল থেকে মাটি ও পোড়া জামা কাপড়ের টুকরো নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করেন। মৃত প্রসেনজিৎ বৈদ্য ও তপতী মণ্ডলের বাড়িও যান তাঁরা।
বুধবার ভোরে গ্রামের একটি পাটকাঠির গাদায় আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় প্রসেনজিৎ ও তপতীর। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, দুজনের মধ্যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই দু’জনকে মেরে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই মহিলার একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে এক যুবক তপতীর বাড়ি এসে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অভিযোগ, তাঁর সঙ্গেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল মহিলার।
ঘটনার পর তপতীর স্বামী উজ্জ্বলকে গ্রামেই একপ্রস্থ জেরা করেন আইসি মানস চৌধুরী। কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি চারদিন বাড়ি ছিলেন না। বুধবার সকালেই বাড়ি ফেরেন। এদিকে দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।