জলমগ্ন সোনারপুর। নিজস্ব চিত্র।
এক টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, বনগাঁ, মধ্যমগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় রবিবার রাত থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে বৃষ্টি আরও বেড়েছে। এর জেরে জল জমতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাস্তায়। সপ্তাহের শুরুর দিনেই কাজে যেতে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
রবিবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় জমেছে জল। উপকূল এলাকার পাশাপাশি জেলার শহরতলির বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। দুর্বল নিকাশি ব্যবস্থার জেরে ডায়মন্ড হারবার, সোনারপুর, বারুইপুর, মহেশতলার বিভিন্ন এলাকা এখনও জলবন্দি। এই বৃষ্টির জেরে সুন্দরবন এবং সংলগ্ন গ্রামগুলিতে চাষের জমিও জলমগ্ন হয়েছে। সুন্দরবনের সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ এবং বিভিন্ন দ্বীপে জল জমে থাকলেও বাঁধ ভাঙার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে বারুইপুর পুরসভার পঞ্চাননতলা থেকে অক্ষয় সংঘ পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং মাস্টারপাড়া, মাটারাট-বাদামতলা মোড়ও জলে ডুবে। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার বৈকুন্ঠপুর, নরেন্দ্রপুর, সুভাষগ্রাম স্টেশন, সুভাষ পার্ক, নন্দন কলোনি, মিশনপল্লী এলাকাতেও হাঁটু সমান জল। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে জল জমে থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন রোগী এবং রোগীদের আত্মীয়রা।
জল জমেছে বারুইপুররে অলিগলিতে। নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমি অক্ষরেখা সক্রিয় হওয়ায় আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলে উপকূল এবং দ্বীপাঞ্চলের বহু এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলিকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়ছে। কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা এবং রায়দিঘির ঘাটে ইতিমধ্যেই ফিরেছে ট্রলারগুলি।