এক টানা বৃষ্টিতে জল জমেছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। ফাইল ছবি।
রবিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সোমবার ভোর থেকে তা আরও বেড়েছে। যার জেরে জল জমতে শুরু করেছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। যানবাহনের গতি শ্লথ হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গে সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি অক্ষরেখা। এর জেরেই বেড়েছে বৃষ্টির দাপট। তা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে সারা দিনই চলবে।
রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য। রবিবার রাত ১টা থেকে সোমবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ধাপায় বৃষ্টি হয়েছে ১৩৬ মিলিমিটার (মিমি), উল্টোডাঙায় ১১৬ মিমি, কালীঘাটে ১১৫ মিমি, তপসিয়ায় ১১৩ মিমি, বালিগঞ্জে ১০৯ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
এক টানা বৃষ্টিতে মধ্য এবং উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ কলকাতার বেশ কিছু এলাকাও জলমগ্ন। জল জমেছে সল্টলেকেও। পাতিপুকুর, উল্টোডাঙা, কাঁকুরগাছি আন্ডারপাসে জলের তলায়। এক টানা বৃষ্টিপাতে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এবং তার পার্শ্ববর্তী রাস্তায় জল জমেছে। মহাত্মা গাঁধী রোডও জলের তলায়। কলেজ স্ট্রিট, আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট জল থইথই। দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভিনিউ, হাঙ্গার ফোর্ড স্ট্রিটেও জল জমে আছে। টালিগঞ্জ থেকে গড়িয়া যাওয়ার রাস্তাতেও হাঁটু জল। মহানায়ক উত্তম কুমার মেট্রোর কাছে গাছ হেলে পড়েছে। বৃষ্টিতে বেহালার বিভিন্ন এলাকার অবস্থাও বেহাল।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, ১৬টি বরো অফিস পাম্প চালিয়ে শহরকে জলমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৪০৮টি পাম্প। আরও ৪৫০টি পাম্প বিভিন্ন বরোতে রয়েছে। সকাল থেকে লকগেট খোলা থাকায় জল কিছুটা হলেও বেরিয়েছে। কিন্তু সাড়ে ১০টার পর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লকগেট। বিকাল ৩টে অবধি তা বন্ধ থাকবে। এই সময় শহরের জল শহরেই থাকবে বলে জানিয়েছেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য তারক সিংহ। যার জেরে বাড়তে পারে শহরবাসীর দুর্ভোগ।