ডায়মণ্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ। নিজস্ব চিত্র
সরকারি হাসপাতাল চত্বরে বসে মদ্যপান করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদারের ছেলে সৌম্যকে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে বসেই সঙ্গীদের সঙ্গে তিনি মদ্যপান করছিলেন। পুলিশ সেখান থেকেই বিধায়ক পুত্র এবং তাঁর পাঁচ সঙ্গীকে গ্রেফতার করে। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই থানা থেকে জামিন পেয়ে যান অভিযুক্তরা। বিধায়ক-পুত্র গ্রেফতারির প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পেয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি প্রভাবশালী হওয়াতেই ছাড়? অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূলও।
সৌম্য নিজে এক জন পেশাদার আইনজীবী। বৃহস্পতিবার তিনি ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ চত্বরের একটি ঝিলে বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে এসেছিলেন। অভিযোগ, মাছ ধরার সঙ্গেই চলছিল মদ্যপান। পুলিশ জানিয়েছে, খবর পেয়ে এলাকায় অভিযান চালান ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে। সৌম্যকে তিনি হাতেনাতে ধরেন। এ প্রসঙ্গে পান্নালালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘প্রকাশ্যে মদ্যপান বেআইনি। আইন আইনের পথেই চলবে।’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার শুধু বিধায়ক-পুত্রই নয়, অনেকেই হাসপাতালের চত্বরে মাছ ধরতে এসেছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে থেকে শুধু সৌম্য এবং তাঁর সঙ্গীদের কেন গ্রেফতার করা হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। অন্য একটি মহলের প্রশ্ন, আইন যদি আইনের পথেই চলবে, তবে অভিযুক্তরা এত সহজে জামিন পেয়ে গেলেন কী ভাবে! সৌম্য নিজে বা তাঁর বাবা পান্নালাল যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।