গোবরডাঙায় বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
বাড়ি থেকে বেরোচ্ছিল পচা গন্ধ। দরজা খুলতেই নজরে এল মেঝেয় পড়ে বৃদ্ধার দেহ। ঘর লন্ডভন্ড। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সমাদ্দারপাড়া এলাকায়। মৃতের নাম পুষ্পা আচার্য (৬৫)। ওই কাণ্ডে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন পুষ্পার আত্মীয়রা। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্তও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে পুষ্পার স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর এক মাত্র মেয়ের চিকিৎসা চলছে অন্যত্র। গোবরডাঙার সমাদ্দারপাড়ার ওই বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকেন। তবে পৃথক ভাবে থাকতেন পুষ্পা। তাঁকে দেখভালের জন্য স্থানীয় এক জন পরিচারিকা ছিলেন। সোমবার রাতে ঘরে ঢুকে প্রতিবেশীরা দেখতে পান, ঘরের মধ্যে সব কিছু লন্ডভন্ড। এর মাঝে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধা পড়ে রয়েছেন মেঝেয়। তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। ঘরের মেঝেতেও রক্তের দাগ দেখতে পেয়েছেন প্রতিবেশীরা। এর পর বিষয়টি জানানো হয় গোবরডাঙা থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে দেহ পাঠানো হয়েছে বারাসত হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য।
চম্পা রায় নামে পুষ্পার এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘ঘরে ঢুকে আমাদের মনে হল, যেন একটা ঝড় বয়ে গিয়েছে। কারণ গোটা ঘর তছনছ হয়েছিল। দেখে মনে হচ্ছে, ঘরে যেন কেউ কিছু খুঁজছিল। উনি মেঝেয় পড়েছিলেন। ওঁকে শেষ বার দেখেছি গত শনিবার। সোমবার কাজের লোকও এসে দরজায় ধাক্কা দেয়। কিন্তু কাউকে না পেয়ে ফিরে যায়। এর পর বাড়ি থেকে গন্ধ পাই আমরা।’ মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি খুনের মামলা রুজু হয়েছে গোবরডাঙা থানায়।