ময়নাতদন্তের পরে গাড়িতে তোলা হচ্ছে দুই শিশুর দেহ। ছবি: দিলীপ নস্কর।
ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের কাছে হুগলি নদীতে রবিবার সন্ধ্যায় ভেসেল থেকে পড়ে গিয়েছিল দুই বোন। রবিবার রাত ও সোমবার সারাদিন তল্লাশির পরে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানা এলাকায় নদী থেকে সাত বছরের সিদ্রা তাসরিন ও পাঁচ বছরের আতিফা নাজরিনের দেহ মেলে। দেহ দু’টি উদ্ধার করে আনার পরে পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেছেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরের কুকড়াহাটি জেটিঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটে বাবা-মায়ের সঙ্গে ফিরছিল সিদ্রা-আতিফা। জেটিঘাটে ভেসেল থেকে বাবা জাকির হোসেনের হাত ধরে নামার সময়ে হাত ফসকে দু’জনে হুগলি নদীতে পড়ে যায়।
সে সময়ে নদীতে ভাটা থাকায় প্রবল স্রোতের টানে ভেসে যায় দু’জন। চারটি স্পিডবোট, পুলিশ লঞ্চ নিয়ে বিপর্যয় মোকাবিলার কমিটির সদস্য, পুলিশ আধিকারিক, প্রশাসনের আধিকারিকেরা তল্লাশি শুরু করেন। নামানো হয়েছিল ডুবুরি। ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে দেহের খোঁজ চলছিল। পাশাপাশি, নদী-লাগোয়া উপকূলবর্তী থানাগুলিতেও খবর পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশ-প্রশাসন জানতে পারে, ডায়মন্ড হারবার জেটিঘাটের প্রায় উল্টো দিকে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানা এলাকার নদীতে, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মৎস্যজীবীদের জালে আতিফার দেহ আটকে ছিল। খবর পেয়ে স্পিডবোটে করে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলার দফতরের কর্মীরা রওনা দেন। একটি দেহ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পরে সেখান থেকে ৫০০ মিটার দূরে সিদ্রার দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দু’টি দেহই উদ্ধার করে আনে পুলিশ-প্রশাসন। দেহে সামান্য পচন ধরেছে। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষ বলেন, “দুর্ঘটনার পর থেকেই তল্লাশি চলছিল। আজ সকালে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানা এলাকা থেকে দেহ দু’টি উদ্ধার করে আনা হয়েছে।”