কাকদ্বীপের স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বইছে জল। নিজস্ব চিত্র।
অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর প্রভাবে বুধবার সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়। সঙ্গে বৃষ্টি। যার জেরে একাধিক নদীবাঁধ উপচে জল ঢুকছে গ্রামগুলিকে। সেই সঙ্গে পূর্ণিমার ভরা কোটাল জলস্তরকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। যার জেরে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবনের একাধিক এলাকা।
বাঁধ ভাঙার জেরে সাগরের ধসপাড়া-সুমতিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। একই ভাবে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কসতলা, কচুবেড়িয়া, মহিষামারি এলাকা। হোগলা নদীর জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে বাসন্তীর লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা। একই অবস্থা কুলতলি বিধানসভার বিভিন্ন এলাকার। সেখানকার ৭/৮ জায়গায় বাঁধ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ডায়মন্ড হারবারের পরিস্থিতিরও অবনতি হতে শুরু করেছে। হুগলি নদীতে জলস্ফীতির জেরে জলমগ্ন হয়েছে ডায়মন্ড হারবারের বেশ কয়েকটি এলাকা। সেখানে হুগলি নদীর জলস্তরও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে।
জলমগ্ন ডায়মন্ড হারবার এলাকা। নিজস্ব চিত্র।
বুধবার রায়দিঘির কুমড়োপাড়া এলাকায় মণি নদীর বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। সেই ফাটল দিয়ে গলগল করে জল ঢুকতে শুরু করেছে গ্রামগুলিতে। প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রয়োজনে গ্রামবাসীদেরকে সঙ্গে নিয়ে বাঁধ মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জলমগ্ন কচুরবেড়িয়া। নিজস্ব চিত্র।