বিধ্বস্ত: হিঙ্গলগঞ্জের গ্রামে বাঁধ ভেঙে ঢুকছে জল। নিজস্ব চিত্র
বাঁশ দিয়ে নদী ভাঙন রোখার চেষ্টা করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে বিডিও-সহ আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামের মানুষ। শুক্রবার দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জের বাঁকড়ায় সাহাপুর এবং কুলেরমাঠ গ্রামে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমপানের সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে গ্রামে নোনা জল ঢোকে। অনেক জায়গায় বাঁধ ছাপিয়েও জল ঢুকেছে। বাঁকড়ায় ইছামতী নদীর বাঁধ প্রায় তিনশো ফুট ভেঙে গ্রামের মধ্যে নোনা জল ঢোকায় ক্ষতিগ্রস্ত হন স্থানীয় বাসিন্দারা। জমির ফসল থেকে শুরু করে পুকুরের মাছ জলে ভেসে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের আভিযোগ, প্রায় প্রতি বছরই বাঁধ ভেঙে তাঁদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। আর এ দিকে একই ঠিকাদার বাঁশ দিয়ে বাঁধ মেরামত করে চলে যাচ্ছেন। যা দিয়ে কোনও ভাবে জল আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। বেলা ১২টা নাগাদ সাহাপুর এবং কুলেরমাঠ এলাকার মানুষ রাস্তার উপরে গাছ ফেলে এবং বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক মেডিক্যাল অফিসার-সহ অধিকারিকেরা আটকে পড়েন। গ্রামবাসীদের দাবি, বাঁশের পরিবর্তে শালবল্লা দিয়ে বাঁধ মেরামত করা হোক। পাশাপাশি, ঠিকাদার পরিবর্তন করা হোক। এ দিন ত্রাণেরও দাবি তোলা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্চনা মৃধা বলেন, ‘‘মানুষের দাবির কথা শুনেছি। দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’