তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুরের দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
এক সিপিএম কর্মীকে মারধকর করেছেন তৃণমূলের লোকজন। এই অভিযোগে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে তীব্র উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার কাঁকিনাড়ার শঙ্করপুর এলাকার। তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালালেন সিপিএমের কর্মীসমর্থকেরা। আক্রান্ত ‘সিপিএম কর্মী’র স্ত্রী ইট ছোড়েন তৃণমূল কার্যালয়ের জানলায়। পুরুষ এবং মহিলারা সম্মিলিত ভাবে ভাঙচুর চালান। শুধু তাই নয়, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এমন ঘটনায় কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয় ওই এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ।
সিপিএমের অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসায় সিপিএমের এক সমর্থককে মারধোর করেন তৃণমূলের লোকজন। ডালিম মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডালিমের উপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার উত্তেজা ছড়ায় ব্যারাকপুরের শঙ্করপুর এলাকায়। চলে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর। ব্যাপক উত্তেজনা শঙ্করপুরের। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাসুদেবপুর থানার পুলিশ বাহিনি।
তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার এক মাতাল টোটোচালক অসভ্যতা করেছিলেন বলে তাঁকে ‘শাসন’ করেছিলেন কয়েক জন। তাকে রাজনৈতির রং দিয়ে ভোটের সময় খবরে আসার চেষ্টা করছে সিপিএম। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তারা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলরাম সাঁতরা বলেন, ‘‘একটি মাতাল টোটোচালককে চড়-থাপ্পড় মেরেছিলেন স্থানীয় কয়েক জন। সে কোনও দলের বলে আমার অন্তত জানা নেই। কিন্তু যেহেতু এখন ভোট চলছে, তার একটা সুযোগ নিতে চাইছে সিপিএম।’’ যুব তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, ‘‘কোথাও জায়গা পাচ্ছে না ওরা। ভোটে এজেন্ট রাখার মতো লোক নেই ওই দলের। প্রার্থী নিজেই বুথে বসছেন। তাই এসব করে খবরে আসতে চাইছে সিপিএম।’’