দূরত্ব বজায় রেখে বাজারে। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
রোজ সকালে যুবকেরা গ্রামে আনাজের পসরা সাজিয়ে বসছেন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে এক একটি আনাজের দোকান। গ্রামের মানুষ সেই বাজারে আনাজ নিতে আসছেন। গাইঘাটা ব্লকের শিমুলপুর নবগ্রাম এলাকায় অস্থায়ী ভাবে তৈরি হওয়া নবগ্রাম সাথী মান্ডি থেকে সবই মিলছে বিনা খরচে।
নবগ্রাম এলাকায় প্রায় ২৫০টি পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগেরই আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। অধিকাংশ মানুষ দিনমজুরি-খেতমজুরির কাজ করেন। কেউ কেউ আবার ফুল বিক্রি করেন। ঠাকুরনগর ফুল বাজার বন্ধ। ফলে অনেকেই রোজগার হারিয়েছেন। লকডাউনের জেরে বাকিদেরও কাজকর্ম বন্ধ।
এই অবস্থায় নবগ্রামের কয়েকজন যুবক এবং কয়েকটি স্বচ্ছল পরিবারের লোকজন গ্রামবাসীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। নিজেরাই টাকা সংগ্রহ করছেন। উদ্যোক্তাদের তরফে মনোজ বিশ্বাস বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ যাতে বাইরে বেরিয়ে আনাজ না কেনেন, সে জন্যই আমাদের এই আয়োজন। এলাকাতেই আনাজ বাজার বসানো হয়েছে।’’
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, গ্রামের গরিব মানুষ সরকারি ভাবে চাল, ডাল আটা পাচ্ছেন। কিন্তু আনাজ পাচ্ছেন না। তাই আনাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারের জন্য কার্ড ব্যবস্থা করা হয়েছে। কার্ড নিয়ে বাজারে আসতে হচ্ছে।
মনোজ বলেন, ‘‘কেউ সাহায্য করতে চাইলে আমরা দানও গ্রহণ করছি। আমাদের যোগাযোগ নম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।’’ কেউ চাইলে ৬২৯৬২১০০৪৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যে তাঁরা সাহায্য পাচ্ছেনও নানা দিক থেকে।
এই বাজার থেকে আনাজ সংগ্রহ করতে হলে গ্রামবাসীদের মাস্ক পরে আসা বাধ্যতামূলক। পোস্টার, ব্যানার সাঁটিয়ে প্রচার করা হচ্ছে, ‘নো মাস্ক নো আনাজ।’