প্রতীকী ছবি।
পানিহাটি পুর এলাকার সাত বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হলেন। সোমবার রাতে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। আক্রান্তদের মধ্যে চার জনের কোনও উপসর্গই ছিল না।
পুরসভা সূত্রের খবর, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক তরুণী এবং ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক মহিলা, দু’জনেই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নার্স। করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসায় বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁরা হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। কোনও উপসর্গ ছিল না তাঁদের।
অন্য দিকে, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অম্বিকাপুরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি নাটাগড়ে মুদির দোকানে কাজ করতেন। কয়েক দিন আগে দোকানের মালিক করোনায় আক্রান্ত হন। এর পর থেকে বাড়িতে ছিলেন ওই ব্যক্তিও। তাঁরও কোনও উপসর্গ ছিল না। তা সত্ত্বেও তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় তাঁকে রাজারহাট কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সাত নম্বর ওয়ার্ডের পি বি ঘাট রোডের বাসিন্দা পেশায় ট্রাকচালক এক যুবকের শরীরে কোনও উপসর্গ না দেখা দিলেও তিনি করোনা সংক্রমিত হন বলে জানা গিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ হন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে জ্বর এলে বৃদ্ধাকে ব্যারাকপুর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। আবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষনগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি ১ মে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বাগবাজারের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। বাড়ি ফেরার পরে ফের অসুস্থ হয়ে তিনি দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় ওই ব্যক্তির লালারসের নমুনা পরীক্ষা করলে তাঁরও রিপোর্ট পজ়িটিভ হয়। আবার নীলগঞ্জ খলিফাবাড়ির বাসিন্দা এক যুবক কয়েক দিন আগে ডায়রিয়া নিয়ে সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে পরে তাঁর কোভিড পজ়িটিভ ধরা পড়ে।
একই দিনে সাত জন আক্রান্ত হওয়ায় পানিহাটি পুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘ওই সব এলাকা সিল করে জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়েছে।’’