প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণের মোকাবিলায় উত্তর ২৪ পরগনায় ২০০টির মতো কোয়রান্টিন কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে বিধাননগর, বারাসত, ব্যারাকপুর, বসিরহাট এবং বনগাঁর প্রতিটি পুরসভা ও ব্লকে কমপক্ষে একটি করে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মেনেই ওই কেন্দ্রগুলিতে তৈরি হচ্ছে শয্যা এবং অন্যান্য ব্যবস্থা। করোনার চিকিৎসায় সেখানে রয়েছে আধুনিক সরঞ্জামও। কোথাও পুরনো সরকারি ভবন, কোথাও স্কুল বাছাই করে তৈরি হচ্ছে কোয়রান্টিন কেন্দ্র। জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রয়োজন পড়লে কোয়রান্টিন কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হবে।’’
বিধাননগর মহকুমার নিউ টাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতাল ছাড়াও একটি আবাসনের কাছে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। পাশাপাশি ওই এলাকারই হজ হাউসে কোয়রান্টিনে রয়েছেন দিল্লির নিজামউদ্দিনে তবলিগ সমাবেশ থেকে ফেরা ৫৪ জন। এ ছাড়াও বারাসতের কাছে কদম্বগাছির একটি হাসপাতাল এবং ব্যারাকপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালেও করা হচ্ছে চিকিৎসার ব্যবস্থা। এর পাশাপাশি করোনার উপসর্গ থাকা রোগীদের জন্য প্রতিটি মহকুমার পুরসভা ও ব্লকগুলিতে কমপক্ষে একটি করে কোয়রান্টিন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি মতে এখনও পর্যন্ত উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আট। তাঁদের মধ্যে মারা গিয়েছেন দু’জন। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিটি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ১০০টির মতো শয্যার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি দফতর সূত্রের খবর, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রয়োজনে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে। বারাসত হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘এর পাশাপাশি সঙ্কটজনক রোগীদেরও সমস্ত রকম চিকিৎসা করা হচ্ছে।’’