—ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় শুক্রবার মালদহ মেডিক্যাল কলেজে আইসোলেশন ওয়ার্ডে আটটি শয্যা সংরক্ষণ করে রাখা হল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। তাই অযথা আতঙ্কের কারণ নেই। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখছেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ইতিমধ্যে হাসপাতালে মজুদ করা হয়েছে। রয়েছে বিশেষ মাস্কও। এদিনই বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনাভাইরাস নিয়ে সমস্ত জেলার প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন। মালদহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও সেই বৈঠকে ছিলেন।
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ চেহারা নিচ্ছে। তাই এই রোগের চিকিৎসায় প্রস্তুতি নিচ্ছে মালদহ মেডিক্যালও। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আইসোলেশন ওয়ার্ডে আটটি শয্যা সংরক্ষণ করে রাখা আছে এই রোগীদের জন্য। ২০০টি পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্টস (পিপিই) মজুত রয়েছে। বিশেষ ধরনের চশমা, মাস্ক বা মুখোশ, জামাকাপড়, দস্তানা ইত্যাদি এই সব পিপিই’র অঙ্গ। প্রায় ৩৫০ বিশেষ মাস্কও মজুত রাখা হয়েছে। ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য যেমন বিশেষ কিট থাকে, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্যও তেমনই বিশেষ কিট আছে। তা প্রায় ১৫০টি এই মুহূর্তে মালদহ মেডিক্যালে রয়েছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সন্দেহ হলে তাঁর ‘থ্রোট সোয়াব’ বা তাঁর গলার ভিতর থেকে শ্লেষ্মা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা প্রয়োজন। পরীক্ষার জন্য এই কিট পাঠাতে হয় কলকাতার নাইসেডে। তবে এখনও পর্যন্ত একজন রোগীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি না হওয়ায় এই কিট ব্যবহারের প্রয়োজন পড়েনি।
হাসপাতালের সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপাল অমিত দাঁ বলেন, ‘‘শুধু মালদহেই নয়, সারা রাজ্যেই একজনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি নেই। কিন্তু আমরা আমাদের দিক থেকে সতর্ক রয়েছি। এর আগে সোয়াইন ফ্লু’র প্রাদুর্ভাবের সময় থেকেই একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা আমরা অবলম্বন করেছিলাম। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আইসোলেশন ওয়ার্ডে পৃথক আটটি শয্যা রাখা হয়েছে।’’
মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিজয়প্রসাদ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘করোনাভাইরাস নিয়ে সতর্কতামূলক বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে যাঁরা এ দেশে আসছেন, তাঁদের তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশেষ ফর্ম রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের এই বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্তও করা হয়েছে। বেশ কিছু গ্রামীণ হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ও সামগ্রী রাখা হয়েছে।’’