Candy

‘চোয়ালভাঙা’ ক্যান্ডি খেতে গিয়ে সত্যিই ভাঙল চোয়াল, উপড়ে গেল দাঁতও! ‘আর খাব না’, কান্না তরুণীর

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডার কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর নাম জাভেরিয়া ওয়াসিম। সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জাভেরিয়া। একটি দোকানে খাবার কেনার সময় তাঁর নজর পড়ে একটি বড় ‘জব্রেকার’ ক্যান্ডির দিকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

আকারে মার্বেলের থেকে বেশ খানিকটা বড়। রংবেরঙের সেই ক্যান্ডি এতটাই শক্ত যে কামড়ে খেতে বেশ বেগ পেতে হয়। সেই ‘জব্রেকার’ বা ‘চোয়ালভাঙা’ ক্যান্ডি খেতে গিয়ে সত্যিই চোয়াল ভেঙে বসলেন এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে কানাডায়। আর সেই খবরে হইচই পড়েছে। সমাজমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে সেই খবর।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কানাডার কলেজপড়ুয়া ওই তরুণীর নাম জাভেরিয়া ওয়াসিম। সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন জাভেরিয়া। একটি দোকানে খাবার কেনার সময় তাঁর নজর পড়ে একটি বড় ‘জব্রেকার’ ক্যান্ডির দিকে। সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্ডিটি কিনে নেন তিনি। দোকানে দাঁড়িয়েই মোক্ষম কামড় বসান সেই ক্যান্ডিতে। কিন্তু প্রথম কামড় বসাতেই যন্ত্রণায় কুঁক়ড়ে যান জাভেরিয়া। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দিকে এগিয়ে যান বন্ধু এবং দোকানদার। তাঁরা দেখেন, ‘জব্রেকার’ ক্যান্ডি ভাঙা তো দূরের কথা, জাভেরিয়ার একটি দাঁতই ভেঙে ক্যান্ডিতে গেঁথে গিয়েছে। অন্য একটি দাঁত নড়ব়ড় করছে। জাভেরিয়াকে কাতরাতে দেখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

হাসপাতালে এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, দাঁত ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি জাভেরিয়ার চোয়ালের দু’টি জায়গায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা। এক ঘণ্টার সেই অস্ত্রোপচারের পর জাভেরিয়াকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ছ’সপ্তাহ কেবল তরল খাবার খেয়েই কাটাতে হবে তাঁকে।

Advertisement

তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিপত্তি নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন জাভেরিয়া। তাঁকে উদ্ধৃত করে ‘পিপল’ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘‘আমি একটি দৈত্যাকার ক্যান্ডি মুখে তুলেছিলাম। আমি দোকানদারকে সেটি নিয়ে জিজ্ঞাসাও করেছিলাম। কিন্তু সেটিতে কামড় দিতেই আমার দাঁত ভেঙে যায়। চোয়ালেও ব্যথা করতে শুরু করে। যখন অ্যাম্বুল্যান্স আসে তখন আমি সব কিছু ঝাপসা দেখছিলাম। খুব কেঁদেওছিলাম।”

জাভেরিয়া জানিয়েছেন, তিনি আর কখনও ‘জব্রেকার’ ক্যান্ডি খাওয়ার সাহস দেখাবেন না। বাকিদেরও ওই ক্যান্ডি না খাওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement