প্রতীকী ছবি।
মোটর ভ্যানের সঙ্গে ট্রেকারের মুখোমুখি ধাক্কায় প্রাণ গেল এক নাবালক এবং দুই মহিলার। জখম হয়েছেন জনা ২০ যাত্রী। জখমদের উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার ও কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাটে ধামুয়া-শেরপুর রোডে, বাঁশতলা মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম দুর্গা পোড়েন (৬৫), গীতা মণ্ডল (৩৫) ও সুজন মণ্ডল (৭)। প্রথমজনের বাড়ি বিষ্ণুপুরের চণ্ডী গ্রামে। বাকি দু’জন উস্তির ইয়ারপুর রথতলা গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ ধামুয়া স্টেশন মোড় থেকে যাত্রী-বোঝাই ট্রেকারটি যাচ্ছিল উস্তির শেরপুরের দিকে। উল্টো দিক দিয়ে আসা যাত্রিবাহী মোটর ভ্যানের সঙ্গে ট্রেকারের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। দু’টি গাড়িতে থাকা যাত্রীরা ছিটকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে মগরাহাট ও উস্তির দুই গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনজনকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয়ে। ট্রেকারের যাত্রী ছিলেন বছর ষাটের বাসিন্দা মালতি হালদার। তিনি জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে। মালতি বলেন, ‘‘মেয়ে গীতা ও নাতি সুজনকে নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ট্রেকারে করে বাড়ি ফিরছিলাম। ট্রেকারটি খুব জোরে চলছিল। যাত্রীরা আস্তে চালাতে বললেও চালক শোনেননি। হঠাৎ উল্টো দিক দিয়ে আসা মোটর ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ট্রেকারে বাঁ দিকে একটি মাত্র আলো জ্বলছিল। উল্টো দিক দিয়ে আসা মোটর ভ্যানের চালক ভেবে থাকতে পারেন, দু’চাকার কোনও গাড়ি আসছে। পাশ কাটাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধামুয়া থেকে শেরপুর হয়ে আমতলা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তায় ১৫-২০টি ট্রেকার, বেশ কিছু মোটর ভ্যান চলাচল করে। কিন্ত ওই সমস্ত গাড়ির বৈধ কাগজ নেই। চালকদেরও অনেকের লাইসেন্স নেই বলে অভিযোগ। বেপরোয়া গতিতে চলতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেকার ও মোটর ভ্যানটি আটক হয়েছে। মোটর ভ্যানের চালক জখম। তাঁর চিকিৎসা চলছে।