শ্রমিক-অসন্তোষ: জ্বলছে আগুন। ছবি: মাসুম আখতার।
ভোট শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ বন্ধের নোটিস দিল ভাটপাড়ার একটি জুটমিল। রবিবার সকালে নোটিস দেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় শ্রমিকদের মধ্যে। তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। মিল চত্বরের বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের অফিসে তাঁরা ভাঙচুর চালান। পরে সেখান থেকে জিনিসপত্র বার করে এনে রাস্তায় ফেলে আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ।
গত নভেম্বর থেকে শ্যামনগরের ওয়েভারলি জুটমিল বন্ধ রয়েছে। এ দিন নোটিস পড়েছে রিলায়েন্স জুটমিলে। ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ তথা বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি জানিয়েছেন, ওই জুটমিলে পাটের জোগান নেই।
কর্তৃপক্ষ পাট জোগাড়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এ দিন গোলমালের জেরে কাজ ফের চালু হওয়ার বিষয়টি জটিলতার মধ্যে পড়ল। যদিও সাংসদের দাবি, মিলের কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই শ্রমিকদের একাংশ গোলমাল করেন।
শ্রমিকেরা জানান, কিছু দিন ধরে মিল কর্তৃপক্ষ পাটের অভাব রয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন। কাজের সময়ও কমিয়ে ছ’দিন করা হয়েছিল। তাঁরা জানান, গত ২১ এপ্রিল মিলে কাজ হয়েছিল। ২২ তারিখ ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ভোট ছিল। দু’দিন ছুটি থাকার পরে রবিবার মিল খোলার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে কাজ বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়।
মিলের আইএনটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক রাজেশ পাসোয়ানের অভিযোগ, পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে দেখে ভাটপাড়া থানায় ফোন করা হলেও পুলিশ প্রথমে আসেনি। রাজেশেরও দাবি, ‘‘ভাঙচুর করাটা মালিকপক্ষের যড়যন্ত্র। না হলে শ্রমিক সংগঠনের অফিসে শ্রমিকেরাই ভাঙচুর করবেন কেন?’’ শ্রমিকদের দাবি, তাঁদের প্রাপ্য মেটানোর বিষয়টি এড়িয়ে যেতেই এ দিনের নোটিস। মিল কর্তৃপক্ষমণ্ডলীর সহ-সভাপতি রাজেশ্বর পাণ্ডেকে ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।