Sandeshkhali Incident

ফের সন্দেশখালিতে ঢুকল সিবিআই, ‘জমি দখলের’ তদন্তে শাহজাহান-ডেরায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা

সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তিন সদস্যের একটি দল ন্যাজাটের শিরিষতলা এলাকায় দীনু মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যায়। ওই ব্যক্তি জমি দখলের অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ১১:৫৫
Share:

সন্দেশখালিতে দীনু মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা। সোমবার সকালে। —নিজস্ব চিত্র

ফের সন্দেশখালিতে গেল সিবিআইয়ের একটি দল। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির তিন সদস্যের একটি দল ন্যাজাট থানার অন্তর্গত শিরিষতলা এলাকায় দীনু মণ্ডল নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যায়। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছিলেন। সোমবার দীনুর বাড়িতে গিয়ে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন সদস্য়েরা। পরে দীনুকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর জমিও ঘুরে দেখেন সিবিআই আধিকারিকেরা।

Advertisement

বসিরহাটে জমি দখল সংক্রান্ত মামলাগুলির তদন্ত করছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দীনু ইমেল মারফত তাদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তার পরেই ওই ব্যক্তির বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। সোমবার সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

পরে ন্যাজেট থানা এলাকারই অন্তর্গত ঝুপখালি এলাকায় হান্নান গাজি নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এখানেও জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য যান আধিকারিকেরা। তিনিও ইমেল মারফত সিবিআইকে জমি দখলের বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।

Advertisement

গত ১০ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, সন্দেশখালির নারী নির্যাতন ও জমি সংক্রান্ত মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। অভিযোগ জানাতে অনলাইন পোর্টাল খুলতে বলা হয়। সেই সঙ্গে নির্দেশ দেওয়া হয়, সন্দেশখালির নিগৃহীতেরা কী ভাবে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন, তা সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে রাজ্য সরকারকে।

গত বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিকাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। ওই দিন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ মুখবন্ধ খামে জমা দেয় তারা।

আদালতে সিবিআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, জমির রেকর্ড সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সহযোগিতা করছে না। তাদের বক্তব্য, জমি কেড়ে নেওয়া সংক্রান্ত ৯০০টি অভিযোগ রয়েছে। রাজ্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা না করলে তদন্তে বিলম্ব হবে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্যকে তদন্তে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে। এই মামলার বিষয়ে রাজ্যের কাছে সিবিআই কিছু নথি চেয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশ, এক সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইয়ের হাতে ওই সমস্ত নথি তুলে দিতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement